প্রতীকী ছবি।
এত দিন ডাকঘর বা ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কে (আইপিপিবি) অ্যাকাউন্ট থাকলে তবেই আইপিপিবি-র পরিষেবায় বিভিন্ন ধরনের বিল বা কিস্তির টাকা (বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, মোবাইল, জলের সংযোগ, কেব্ল, ব্রডব্যান্ড, স্কুলের ফি, ফাস্ট্যাগ, পুরসভার কর, জীবন বিমা বা চিকিৎসা বিমা ইত্যাদি) মেটানো যেত। নির্দিষ্ট চার্জ-সহ বিলের অঙ্ক কেটে নেওয়া হত ওই অ্যাকাউন্ট থেকে। এ বার সকলের জন্যই সেই সুবিধা আনতে চলেছে আইপিপিবি। অর্থাৎ, অ্যাকাউন্ট না থাকলেও ডাকঘরে (কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবার) গিয়ে বা বাড়িতে বসে (আলাদা চার্জ দিয়ে) ওই টাকা মেটানো যাবে। তবে এই সুবিধা নিতে গেলে একটি মোবাইল নম্বর থাকা জরুরি। পুজোর আগেই এই সুবিধা চালুর আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে পেমেন্টস ব্যাঙ্কটি চালু করে ডাক বিভাগ। যার মাধ্যমে ডাকঘরের পাশাপাশি, গ্রাহকদের বাড়িতে গিয়েও ব্যাঙ্কিং-সহ বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, এখন ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (পশ্চিমবঙ্গ, আন্দামান নিকোবর ও সিকিম) প্রায় ৭০০০ ডাকঘরে বিভিন্ন ধরনের বিল জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু রয়েছে। যদিও ডাকঘর বা আইপিপিবি-র গ্রাহকেরাই সেই সুবিধা পান। ‘ভারত বিল পেমেন্টস সার্ভিসের’ মাধ্যমে সেই পরিষেবা দেয় আইপিপিবি। পুজোর আগে এই পরিষেবা সকলের জন্যই পুরোদস্তুর চালু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কর্তারা।
বিভিন্ন লেনদেনের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক অনুযায়ী আইপিপিবি আলাদা আলাদা চার্জ নেয়। ডাক বিভাগের দাবি, সেই অঙ্ক খুবই কম। এখন সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, যে সমস্ত গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট নেই তাঁদের ক্ষেত্রে লেনদেনের সর্বোচ্চ অঙ্ক হতে চলেছে ১০,০০০ টাকা। টাকা জমার পরে লেনদেনকারীর মোবাইলে এসএমএস যাবে। যে সংস্থার বিল বা কিস্তির টাকা মেটানো হবে, সেই সংস্থাটিকে অবশ্য আইপিপিবি-র লেনদেন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। সারা দেশে ১৯ হাজার এমন সংস্থা আইপিপিবি-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বাড়িতে বসে এই পরিষেবা নিতে হলে বাড়তি ২০ টাকা (জিএসটি-সহ) খরচ হবে।