প্রতীকী ছবি।
জিএসটি পরিষদের সাম্প্রতিকতম বৈঠকে এই পরোক্ষ কর ব্যবস্থায় একগুচ্ছ বদলের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তার রূপায়ণের জন্য বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি হল। জানানো হয়েছে, কাঁচামাল বাবদ আগে মেটানো কর ফেরতের (আইটিসি) সুবিধা বেআইনি ভাবে নিলে তা ফেরতের পাশাপাশি সুদও গুনতে হবে করদাতাকে।
সাম্প্রতিক কালে জিএসটি সংগ্রহ ধারাবাহিক ভাবে বেড়েছে। কেন্দ্রের দাবি, এর পিছনে রয়েছে কর ফাঁকি, ভুয়ো আইটিসি আটকানোয় সাফল্য। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেআইনি আইটিসির ক্ষেত্রে তা ফেরতের সঙ্গে গুনতে হবে সুদও। সেই সুবিধা দাবি করেও পরবর্তী রিটার্নে কর মেটানো হলে সুদ দিতে হবে না। ৫ জুলাই থেকে এই ব্যবস্থা শুরু হলেও ২০১৭ সালের জুলাই থেকে তা কার্যকর ধরা হবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে যে সব ব্যবসায়ীর আয় ২ কোটি টাকার নীচে, তাঁদের বার্ষিক রিটার্ন দিতে হবে না। লাগবে ত্রৈমাসিক রিটার্ন। মেটাতে হবে প্রতি মাসের করও। এ ছাড়া রিটার্ন জমা না দেওয়ায় জিএসটি নথিভুক্তি বাতিল হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ফের রিটার্ন দেওয়া শুরু করলে নথিভুক্তির নবীকরণ আপনা থেকেই হবে।
কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার এবং সংগঠনের কর সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক যতনলাল বারডিয়া সংশোধনীকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমবে। ভুলবশত আইটিসি নিলে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।’’ কেপিএমজি-র ট্যাক্স পার্টনার অভিষেক জৈনের দাবি, যোগ্যব্যবসায়ীরা যাতে বঞ্চিত না হন, নতুন ব্যবস্থায় তা নিশ্চিত করা হয়েছে।