Interest

সুদের বোঝা ৬৮ হাজার কোটি, সাহায্য চায় শিল্প

এমএসএমই সংগঠন ফসমির প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের দাবি, চড়া মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে আরবিআইকে রেপো বাড়াতেই হত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:০৩
Share:

স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই ছবি। প্রতীকী ছবি।

মূল্যবৃদ্ধিকে বাগে আনতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টানা পাঁচ দফায় সুদ বাড়িয়েছে মোট ২২৫ বেসিস পয়েন্ট। যার মাসুল গুনে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি সংস্থা এবং (এমএসএমই) এবং খুচরো ঋণগ্রহীতাদের ঘাড়ে সুদের বোঝা চেপেছে ৬৮,৬২৫ কোটি টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই ছবি। সেখানে দাবি, বাজারে মোট ৪৭% ঋণ সরাসরি রেপো রেটের (যে সুদে আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয়) সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে পড়ে গৃহঋণ এবং এমএসএমই ঋণ। তাই রেপো বাড়তে বাড়তে ৬.২৫ শতাংশে পৌঁছনোয় খরচ বেড়েছে তাদের।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কোভিডকালে আয় কমেছে বহু মধ্যবিত্ত পরিবারে। অথচ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে ধার শোধের মাসিক কিস্তি চুকিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়েছে। নাভিশ্বাস নোটবন্দি, জিএসটি, কোভিডের মতো একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া ছোট সংস্থারও।

এমএসএমই সংগঠন ফসমির প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের দাবি, চড়া মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে আরবিআইকে রেপো বাড়াতেই হত। তবে সুদ বৃদ্ধির জেরে এই শিল্পের সংস্থাগুলির কার্যকরী মূলধনের খরচ কমপক্ষে ১% বেড়েছে। তাই কেন্দ্রের কাছে তাদের জন্য সুদে ভর্তুকি বা অন্য কোনও আর্থিক সহায়তার আর্জি জানান তিনি। শিল্পমহল সূত্রের খবর, আর্থিক হিসাব-সহ যথাযথ নথিপত্র না থাকার অভিযোগে এমনিতেই সহজ শর্তে ঋণ পেতে সমস্যায় পড়ে অনেক ছোট সংস্থা। তার উপরে সুদের বোঝা। বিশ্বনাথবাবুর বক্তব্য, খরচ বেড়েছে। কিন্তু পণ্য বা পরিষেবার দাম বাড়ানো যাচ্ছে না। বাড়তি আর্থিক বোঝা কমাচ্ছে মুনাফা। চড়া মূল্যবৃদ্ধির জমানায় কাঁচামাল কিনতেও টাকা লাগছে বেশি। স্টেট ব্যাঙ্কের সমীক্ষা বলছে, হালে মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা মাথা নামালেও সুদের হার এত বেড়ে যাওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়বে চাহিদায়।

Advertisement

অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের মতে, “জোগানের অভাবই মূল্যবৃদ্ধির কারণ। তার সুরাহা না করে সুদের হার বৃদ্ধির দাওয়াই ঠিক নয়। বরং পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমালে পণ্যের দাম কমানো যেত।’’ অবশ্য মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পড়াতে সুদ বৃদ্ধি ছাড়া উপায় নেই বলছেন পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক। ব্যাঙ্কগুলি অবশ্য এমসিএলআর বাড়িয়ে অন্য ঋণেও সুদ বাড়াচ্ছে। ইউকো ব্যাঙ্কের এগ্‌জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর অজয় ব্যাস বলেন, “এমসিএলআরের হার বদলাতে গড়ে বছরখানেক লাগার কথা। কারণ, ব্যাঙ্কের তহবিল সংগ্রহের খরচের ভিত্তিতে তা নির্ধারিত হয়। ব্যাঙ্কে এখনও বহু পুরনো আমানত রয়েছে। যাতে সুদের হার কম। তাই রেপো বাড়লেও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এমসিএলআরের হার বাড়াতে সময় লাগে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement