এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকম অনুষ্ঠানের মুখ্য বক্তা ন্যাসকমের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য কিরণ কার্নিক। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির চাকায় গতি আনতে সমাজের সব স্তরের মানুষের আয় বাড়ানো জরুরি। তবেই বৃদ্ধি ৮-৯ শতাংশ ছুঁতে পারে। বৃহস্পতিবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকমের প্রথম দিনে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের এই রাজসূয় যজ্ঞের সুর বেঁধে দিল ন্যাসকমের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য কিরণ কার্নিকের এই বার্তাই। সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা ছিলেন তিনি। সকলের আয় বাড়াতে সঠিক নীতি প্রণয়নেও জোর দেন পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত কিরণ। সেই সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসে অতিমারির পরে তথ্যপ্রযুক্তিতে ভর করে বদলে যাওয়া সময়ের কথা। ইনফোকমের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
করোনার জন্য গত দু’বছর ইনফোকম হয়েছিল অনলাইনে। এ বছর ফিরেছে সাবেক কাঠামোয়। কলকাতার আইটিসি সোনার হোটেলে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন ছিল ভিড়ে ঠাসা। এবিপি প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও ধ্রুব মুখোপাধ্যায় জানান, “কোভিডের পরে ফের অর্থনীতিতে গতি ফিরছে। সূচনা হয়েছে নতুন যুগের। যার প্রধান চালক তথ্যপ্রযুক্তি। বিশেষত ডিজিটাল ব্যবস্থা। আনন্দবাজার পত্রিকার শতবর্ষেই তাই নতুন যুগে পা রাখার ক্ষেত্রে পরিবর্তনের কান্ডারিদের নিয়ে ইনফোকমে আলাপ-আলোচনার আয়োজন করেছি আমরা।’’
এ দিন কার্নিক বলেন, ‘‘ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৮-৯ শতাংশে নিয়ে যেতে উপযুক্ত নীতি নির্ধারণ জরুরি। প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করা। শুধু পণ্যের উৎপাদন বাড়লেই হবে না। ক্রেতাও দরকার। সব স্তরের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে সেটা সম্ভব।’’ যুব সম্প্রদায়ের সদর্থক ভূমিকা, উদ্ভাবনী ক্ষমতার লালন, কর্মসংস্থান এবং স্কুল স্তরে নিখরচায় শিক্ষাতেও জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে যোগ দেন এরিকসন গ্লোবাল সার্ভিসেস ইন্ডিয়ার এমডি অমিতাভ রায়, জোত্তা ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সিইও সুনীল গুপ্ত, এসটিপিআইয়ের ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার। সকলেই বিশ্ব জুড়ে ডিজিটাল নির্ভর পরিবর্তনের কথা বলেছেন। সুনীল জানান রাজ্যের উত্তরপাড়ায় ৮৫০০ কোটি টাকা লগ্নিতে লজিস্টিকস পার্ক, গুদাম এবং ডেটা সেন্টার গড়ার কথা। ২০ একরে হবে ১৬০ মেগাওয়াটের ডেটা সেন্টার। তিনি প্রতিযোগিতায় এগোতে উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রয়োগের নতুন কৌশলেও জোর দেন। অরবিন্দ জানান স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির জন্য কেন্দ্রের ৯০ কোটি টাকার তহবিল গড়ার কথা। ২০২৪-এর মধ্যে প্রায় ৩০০টি সংস্থাকে আর্থিক সাহায্যের পরিকল্পনা। তবে অমিতাভর দাবি, তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার নির্ভর করছে বিশ্বের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর।