—প্রতীকী চিত্র।
করোনার ধাক্কায় জেরবার অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়ানোর জন্য বারবারই কেন্দ্রকে আরও বেশি করে খরচের পথে হাঁটতে বলছেন শিল্প মহল থেকে শুরু করে অর্থনীতিবিদদের একাংশ। শুক্রবার যখন ৪ ডিসেম্বরের ঋণনীতি কমিটির বৈঠকের মিনিট সামনে এল, দেখা গেল সেখানেও সেই সরকারি খরচের সওয়াল করা হয়েছে। কমিটির
সদস্য শশাঙ্ক ভিডের কথায়, বর্তমান পরিস্থিতি লগ্নির অনুকূল। কিন্তু চাহিদা বাড়াতে কাজের সুযোগ ও আয় বৃদ্ধি জরুরি। আর সে জন্য কেন্দ্রের আরও বেশি খরচের পথে হাঁটা দরকার।
সেই সঙ্গে বৈঠকে করোনা আবহে অর্থনীতিতে সুরাহা দিতে আনা বিভিন্ন সুবিধা তাড়াহুড়ো করে যাতে তুলে তুলে না-নেওয়া হয়, সেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্ক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তাঁর মতে, সুবিধা দ্রুত বন্ধ হলে আর্থিক কর্মকাণ্ড সামান্য বৃদ্ধি পাওয়া ও অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর যে ইঙ্গিত মিলছে, তা ধাক্কা খাবে। আবার অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত
ঘুরে দাঁড়ানো এবং চড়া মূল্যবৃদ্ধি আগামী দিনে সুদ কমার সম্ভাবনাকে কমিয়ে আনছে বলেই জানিয়েছেন ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্র।
উপদেষ্টা সংস্থা নোমুরারও মতে, খুচরো মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবরেই এ বারের মতো চূড়া দেখে ফেলেছে। কিন্তু তা আগামী দিনে এতটাও নামবে না যে, পরের বছর সুদ কমবে। উল্টে ২০২২-এর শুরুতে সুদ বাড়াতে হতে পারে।