জোড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে ভারতের টেলি শিল্প। —প্রতীকী চিত্র।
নতুন বছরে ভাল কিছুর আশায় বুক বেঁধেছে টেলি শিল্পও। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ২০২৪ সাল টেলি সংস্থাগুলির যেমন গিয়েছে, ২০২৫-এ হবে উল্টোটাই। কারণ, মাসুল বৃদ্ধির জেরে চার মাস বেসরকারি সংস্থাগুলি টানা গ্রাহক হারিয়েছে। উপরন্তু এ বছর কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক (স্যাটেলাইট) নেট পরিষেবা দেশের টেলি শিল্পে বিরাট বদল আনবে বলে ধারণা। এই ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা পিছিয়ে দেশীয় সংস্থাগুলি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সে কারণে এ বছর জোড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে ভারতের টেলি শিল্প।
গত বছর ৪জি ও ৫জি পরিকাঠামোয় রিলায়্যান্স জিয়ো, ভারতী এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়া (ভি) প্রায় ৭০,০০০ কোটি টাকা ঢেলেছে। তার পরেও তারা প্রায় ২.৭৫ কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। যাঁদের ৭০% গিয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএল-এ। যা তিন সংস্থার পক্ষে উদ্বেগের বলেই মত উপদেষ্টা সংস্থা ইওয়াই-এর প্রশান্ত সিঙ্ঘলের। এ বছর ৫জি পরিষেবা পুরো চালু হলে লড়াই আরও কয়েকগুণ কঠিন হবে।
এ দিকে, ২০২৫-এ দেশে স্যাট-নেট পরিষেবা চালুর কথা। কেন্দ্র এ জন্য স্পেকট্রাম নিলাম নয়, বণ্টন করবে। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে টেলি শিল্প। কারণ, ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক বা জেফ বেজোসের কুইপারের কৃত্রিম উপগ্রহ থাকায় তারা কম দামে যে উন্নত পরিষেবা দিতে পারবে, তা এখনই জিয়ো-এয়ারটেলের মতো দেশীয় সংস্থার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ইন্ডিয়ান স্পেস অ্যাসোসিয়েশনের ডিজি এ কে ভট্টের মতে, স্পেকট্রাম বণ্টন ঠিক সিদ্ধান্ত। এতে বিশ্বমানের নেট পরিষেবা মিলবে এ ভারতেও।
গুগল ও বেন অ্যান্ড কোম্পানির রিপোর্ট বলছে, দশক শেষে ভারতে নেট ভিত্তিক অর্থনীতি ১২-১৩ লক্ষ কোটি টাকা থেকে পৌঁছবে ৮০ লক্ষ কোটিতে। এই বাজার ধরতেই মাস্ক-বেজোসের মুখোমুখি অম্বানী-মিত্তল-বিড়লারা। তবে বিশেষজ্ঞেরা একমত, মোবাইল বা সহজলভ্য নেট দেশের টেলি শিল্পে যে আমূল বদল এনেছিল, স্যাট-নেট তার চেয়েও বড় পরিবর্তন আনবে।