—প্রতীকী ছবি।
গত মাসে ৬৭.৩৯% বেড়েছে ভারতের রফতানি। বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ওই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩২২১ কোটি ডলার। যা ২০১৯ সালের মে মাসের ২৯৮৫ কোটির থেকেও বেশি। বিদেশে পেট্রোপণ্য, গয়না ও দামি পাথর, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিই রফতানি বাড়াতে সাহায্য করেছে।
আমদানিও গত বছরের থেকে ৬৮.৫৪% বেড়ে মে মাসে হয়েছে ৩৮৫৩ কোটি ডলার (২০১৯ সালে ছিল ৪৬৬৮ কোটি)। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩২ কোটি। যা ২০২০-এর থেকে ৭৪.৬৯% বেশি। তবে ২০১৯-এর চেয়ে ৬২.৪৯% কম।
রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়োর প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার সরাফের মতে, বিদেশে চাহিদা বৃদ্ধির জেরেই টানা তিন মাস রফতানি বেড়েছে। আগামী দিনে ভারতের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে ও অন্যান্য দেশে কড়াকড়ি উঠলে তা আরও বাড়বে বলে তাঁর আশা। এর হাত ধরে বিশেষত, হস্তশিল্প, কার্পেট, সামুদ্রিক পণ্য, গয়নার মতো শ্রমনিবিড় ক্ষেত্রগুলিতে কাজের সুযোগ বাড়বে বলে ধারণা সরাফের।
ট্রেড প্রোমোশন কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান মোহিত সিংলাও জানান, পরিসংখ্যান বলছে গত মাসে গাড়ির যন্ত্রাংশ, লোহা, ইস্পাত, নিউজ়প্রিন্টের মতো পণ্যের আমদানি কমেছে। অর্থাৎ, এই সব ক্ষেত্রে দেশ স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগোচ্ছে। যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং রফতানিকারীদের সংগঠন ইইপিসি-সহ সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, গত বছর মে মাসে ভারতে লকডাউন চলায় প্রায় বন্ধ ছিল আর্থিক কর্মকাণ্ড। তেমনই অন্যান্য দেশে কড়াকড়ি চলায় ছিল না চাহিদা। ফলে তলানি ছুঁয়েছিল রফতানি। সেই নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে এ বারের সংখ্যা খুব ভাল মনে হলেও, তাকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ বলা চলে না।