গত ডিসেম্বরে তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভারতের রফতানি কমেছিল ১২.২%। প্রতীকী ছবি।
চিন্তা বাড়াচ্ছে কমতে থাকা চাহিদায় শ্লথ বিশ্ব বাজার। গত ডিসেম্বরে তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভারতের রফতানি কমেছিল ১২.২%। বুধবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে প্রকাশ, ফেব্রুয়ারিতেও ৮.৮% সঙ্কুচিত হয়ে তা দাঁড়িয়েছে ৩৩৮৮ কোটি ডলার। আগের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে তা ৬.৫৮% সঙ্কুচিত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে বাণিজ্য মন্ত্রক তা সংশোধন করে জানিয়েছে, ওই মাসে আসলে রফতানি ১.৫১% বেড়েছে।
সরকারি তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারিতে আমদানিও ৮.২১% নেমে হয়েছে ৫১৩১ কোটি ডলার। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, কেন্দ্র অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দাবি করলেও দেশে চাহিদার অভাবকেই প্রকট করেছে বিদেশ থেকে পণ্য কেনার গতি মন্থর হওয়া। এর ফলে বাণিজ্য ঘাটতি ১৭৪৩ কোটি ডলারে নেমে ঠেকেছে এক বছরের তলানিতে। এই নিয়ে টানা তিন মাসে আমদানি কমল ভারতে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড, যুদ্ধ, চড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং লাগাতার সুদের হার বৃদ্ধির আঘাত চাহিদা কাড়ছে বিশ্ব অর্থনীতির। যা বিক্রিবাটা কমাচ্ছে। ভারতের বাণিজ্যে তারই ধাক্কা। তবে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ১১ মাসে (এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি) রফতানি বেড়েছে। তার তুলনায় আমদানি বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অরুণ কুমার গারোদিয়া জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি ফেব্রুয়ারিতে আগের বছরের তুলনায় ৯.৬৮% কমেছে। তিনি বলেন, “অর্থনীতির হাল খারাপ হওয়ায় বিদেশের বাজারে চাহিদা দুর্বল। আমেরিকার দুই ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় ২০২৩ সালেও ওই পণ্য রফতানিতে সমস্যা হবে।’’ এপ্রিল-ফেব্রুয়ারিতে বেড়েছে পেট্রোপণ্য, রাসায়নিক, ওষুধ, বৈদ্যুতিন পণ্য এবং তৈরি জামাকাপড়ের রফতানি।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়ালের দাবি, “ভারতীয় রফতানির গতি দেখে মনে হচ্ছে চলতি অর্থবর্ষে তার অঙ্ক ৭৫,০০০ কোটি ডলার ছাড়াবে। বিশেষত ভাল ব্যবসা করবে পরিষেবা ক্ষেত্র।’’