—প্রতীকী ছবি।
শেয়ারে লগ্নিকারীদের এ বার দুঃসংবাদ শোনাল সমীক্ষক সংস্থা ‘গোল্ডম্যান স্যাক্স’। আগামী দিনে সেনসেক্স ও নিফটির গ্রাফ আরও নামতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা। মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর গত দু’মাসের মধ্যে বাজারে সর্বাধিক পতন দেখা গিয়েছিল। তার এক দিনের মাথাতেই লগ্নিকারীদের সতর্ক করল এই সমীক্ষক সংস্থা।
গোল্ডম্যাক্স স্যাক্সের তরফে বলা হয়েছে, দ্রুত গতিতে বাড়ছে এশিয়ার শেয়ার বাজার। সেই তুলনায় ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির লেখচিত্র খুবই শ্লথ। কর্পোরেট মুনাফা কমার প্রবণতা রয়েছে। ফলে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) শেয়ার সূচক এক বছরে ২৭ হাজারে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে যা ২৭ হাজার ৫০০ পয়েন্টে যাবে বলে অনুমান করেছিল এই সমীক্ষক সংস্থা।
ভারতীয় শেয়ার বাজারে আগামী ৩ থেকে ৬ মাস ‘কঠিন সময়’ আসতে চলেছে বলে উল্লেখ করেছে গোল্ডম্যান স্যাক্স। খারাপ উপার্জন, মুনাফা কমে যাওয়া এবং বাজার খোলার পর দুর্বল ভাবে শেয়ার সূচকের দিন শুরুকে ‘অশনি সঙ্কেত’ বলে স্পষ্ট করেছেন এই সংস্থার সমীক্ষকেরা। এগুলি সবই কর্পোরেট আয় কমে যাওয়ার ইঙ্গিত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উচ্চ মূল্যায়ন এবং একটি কম সহায়ক পটভূমি শেয়ারের ঊর্ধ্বগতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন গোল্ডম্যানের বিশেষজ্ঞেরা।
চলতি বছরের ১০ অক্টোবর ‘বার্নস্টেইন রিসার্চ’ নামের একটি সংস্থা ভারতীয় শেয়ার বাজার নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে তারা একে ‘নিরপেক্ষ’ থেকে ‘দুর্বল’ স্তরে নামিয়ে দিয়েছে। আগামী দিনে বাজার দুর্বল হবে বলেও আশঙ্কা করেছে বার্নস্টেইন। সংস্থাটির দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে চিনের বাজার হু হু করে বাড়ছে। ফলে ভারত থেকে বিদেশি লগ্নিকারীদের নজর ওই বাজারের উপর পড়েছে। যা চিন্তার বিষয়ে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই কথা শোনা গিয়েছে অস্ট্রেলীয় সংস্থা ‘লরেন্স ব্যালাঙ্কো’-র গলাতেই। তাদের দাবি, আগামী ২০ দিনের মধ্যে নিফটির সূচক হাজার পয়েন্ট পড়তে পারে। এ বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ২৬,২৭৭ পয়েন্টে উঠেছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার সূচক। ইতিমধ্যেই যা ৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ৯৩০ পয়েন্ট পড়ে ৮০ হাজার ২২০ পয়েন্টে বন্ধ হয় সেনসেক্স। আর এনএসই বন্ধ হয়েছিল ২৪,৪৭২.১০ পয়েন্টে। অর্থাৎ, নিফটিতে ৩০৯ পয়েন্ট পতন লক্ষ করা গিয়েছে। দু’টি সূচকই নামায় লগ্নিকারীদের ৮.৯ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলে বাজার সূত্রে মিলেছে খবর।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)