প্রতীকী চিত্র।
করোনার কারণে চলতি বছরে রেলের আয় বিপুল কমেছে। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় আয় ৩৪,১৪৫ কোটি টাকা কম। এমনই হিসাব লোকসভায় পেশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিন বৈষ্ণো। তবে যাত্রী ভাড়া বাবদ ক্ষতির পরিমাণই বেশি। বৈষ্ণোর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী যাত্রী ভাড়া বাবদ আয় আগের বছরের তুলনায় ৩৫,৪২১ কোটি টাকা। ট্রেনের বগি ভাড়া দেওয়া বাবদ রোজগারও কমেছে ২,৫৪৪ কোটি টাকা। তবে পণ্য পরিবহণে আগের বছরের তুলনায় ৩,৭৪৪ কোটি টাকা আয় বেড়েছে। এর ফলে মোট ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও সামাল দেওয়া গিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি অর্থবর্ষের একটা বড় সময় স্বাভাবিক পরিষেবা বন্ধ রেখেছিল রেল। যে টুকু পরিষেবা চলছিল তাতেও রেলের পক্ষে বলা হয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন সফর না করেন। রেলের সেই নীতি এখনও বজায় রয়েছে। তবে সম্প্রতি দূরপাল্লার পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের মতো আগের বছর অর্থাৎ, ২০১৯-২০ সালেও রেলের আয় কম হয়েছিল। সেই সময়েও করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ সময় রেল পরিষেবা বন্ধ থাকে।
তবে যাত্রী ভাড়ায় চলতি অর্থবর্ষে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ২০১৯-২০ সালে যাত্রী ভাড়া বাবদ রেলের আয় ছিল ৫০,৬৬৯.০৯ কোটি টাকা। সেটা এ বার কমে হয়েছে ১৫২৪৮.৪৯ কোটি টাকা। অন্য দিকে পণ্য পরিবহণ থেকে আয় ১১৩৪৮৭.৮৯ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১১৭২৩১.৮২ কোটি টাকা।