৫% বৃদ্ধি ছুঁতেও সমস্যা হবে, মত মার্কিন অর্থনীতিবিদের

নতুন বছরের শুরুতে সংস্কার থমকানো এবং ধর্মীয় বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হান্‌কে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:২৯
Share:

—প্রতীকী ছবি

বছর শেষে ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ফরাসি অর্থনীতিবিদ গাই সোর্মান। আর নতুন বছরের শুরুতে সেই সংস্কার থমকানো এবং ধর্মীয় বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধলেন মার্কিন অর্থনীতিবিদ স্টিভ হান্‌কে।

Advertisement

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগনের আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্যের মতে, ভারতে এক সময়ে ঋণ দেওয়া বিপুল হারে বেড়েছিল, যা ধরে রাখা যায়নি। উল্টে জেঁকে বসেছে অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা। ফলে এখন ঋণ দেওয়া নিয়ে সতর্কতা দেখা যাচ্ছে। কমেছে তার পরিমাণও। এর জেরে ধাক্কা খাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এতটাই যে, এই বছরে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে নিয়ে যেতেও সমস্যা হতে পারে। তবে ঋণের এই সমস্যা কাঠামোগত নয়। অর্থনীতির স্বাভাবিক নিয়মেই হচ্ছে বলেও মত তাঁর।

দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার নেমেছে ছ’বছরের তলানিতে। এই অবস্থায় রবিবার সোর্মান বলেন, দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে মোদী সরকার প্রথম দিকে পদক্ষেপ করলেও, সংস্কার মাঝপথে থেমে গিয়েছে। এখন অনেক বেশি রাজনৈতিক বিষয়গুলি গুরুত্ব পাচ্ছে। দেশি-বিদেশি লগ্নিকারীরাও ভয়ে রয়েছে। তাই তারা আপাতত ভারতকে এড়িয়ে চলছে। দেওয়াল তোলার নীতিও এ দেশে বেশি চোখে পড়ছে, যা ক্ষতি করছে অর্থনীতির। বুধবার তাঁর মতের সমর্থনই শোনা গিয়েছে হান্‌কের গলায়।সেই সঙ্গে হান্‌কে বলেন, ‘‘অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে রকম সাহসী সংস্কার দরকার, তা মোদী সরকার করতে পারেনি। বরং তারা এখন জোর দিচ্ছে দু’টি বিষয়ে— জাতিসত্তা ও ধর্মে। দুইয়ের এই মিশ্রণ বিপজ্জনক (ডেড্‌লি ককটেল)।’’ তাঁর মতে, অনেকেই মনে করেন যে ভারত এক সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ছিল। তারাই এখন পরিণত হয়েছে বৃহত্তম ‘পুলিশ স্টেটে’। তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও, কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement