আমেরিকার প্রাক্তন অর্থসচিব ল্যারি সামার্স। —ছবি : সংগৃহীত
উন্নত দেশ হতে আগামী দু’দশকে প্রতি বছর ৮%-৯% হারে ভারতকে বাড়তে হবে বলে দাবি করেছিল ডেলয়েট। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সি রঙ্গরাজনের বার্তা ছিল, শুধু আর্থিক বৃদ্ধি নয়, জরুরি মানুষের আয় বাড়ানো। আর শনিবার একই পথে হেঁটে অর্থনীতিবিদ এবং আমেরিকার প্রাক্তন অর্থসচিব ল্যারি সামার্স জানালেন, কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে প্রতি বছর ৮% হারে আর্থিক বৃদ্ধি জরুরি। ভারতের যা বর্তমান ক্ষমতা, তাতে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি হলেও তা অসম্ভব নয়।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) ৭.৮% বৃদ্ধির মুখ দেখেছে ভারত। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৬.৫%। তবে ইতিমধ্যেই এডিবি এ দেশের জিডিপি-র পূর্বাভাস ছেঁটেছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার বণিকসভা সিআইআই-এর এক অনুষ্ঠানে সামার্স বলেন, ৮% বৃদ্ধি কয়েক কোটি মানুষের জীবনযাপনের মান পাল্টে দিতে পারে। এই বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তাঁর নিজের নয়, বরং বর্তমানে চালু থাকা নানা নীতি বিশ্লেষণ করেই পাওয়া। কিন্তু তা ভারতকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে সক্ষম। আর এই মুহূর্তে দেশের যা ক্ষমতা, তাতে এই লক্ষ্য ছোঁয়াও অসম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, রঙ্গরাজনের বার্তা ছিল, পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হওয়া চিত্তাকর্ষক ঠিকই। কিন্তু সেই সঙ্গে মাথা পিছু আয় বৃদ্ধিও জরুরি। কারণ, সকলের মধ্যে সাম্য না থাকলে দীর্ঘস্থায়ী বৃদ্ধি সম্ভব নয়। আর ডেলয়েটের মত ছিল, তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার আগামী ২০ বছর ধরে টানা ৮%-৯% হতে হবে।