ফাইল চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক রিপোর্টে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমে গেল ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার। শিল্প ও কৃষিতে মন্দার কারণেই জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.১ শতাংশে নামল, এমনটাই বলা হয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্টে।
অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক রিপোর্টে অবশ্য বেশ চাঙ্গা ছিল ভারতীয় অর্থনীতি। প্রথম তিন মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২ শতাংশ। যে কারণে শঙ্কার মেঘ কাটিয়ে উঠে কিছুটা স্বস্তিতেই ছিল দেশের শিল্প মহল। কিন্তু পরের তিন মাসে, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের হিসেবে সেই বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে দাঁড়াল ৭.১ শতাংশে, যা প্রথম তিন মাসের থেকে অনেকটাই কম। জিডিপিতে ধস নামলেও গত বছরে এই সময়কালের থেকে তা অনেকটাই ভাল। গত বছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৩ শতাংশ।
জিডিপি-র এই ধস অর্থনীতিবিদদের কাছে অনেকটাই অপ্রত্যাশিত। ব্লুমবার্গ সংস্থার অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস ছিল, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার থাকবে ৭.৫ শতাংশের কাছাকাছি। রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের প্যানেলের পূর্বাভাস ছিল ৭.৪ শতাংশ। সেখানে জিডিপি ৭.১ শতাংশে নেমে যাওয়া অবাক করেছে শিল্পমহলকে।
আরও পড়ুন: তুলে দেওয়া হোক ‘অকর্মণ্য’ নীতি আয়োগ, ইউপিএ আমলের জিডিপি কমানোয় তোপ কংগ্রেসের
এই মন্দার জন্য বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করছেন অর্থনীতিবিদরা। টাকার দামে রেকর্ড পতন ও আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়া যার মধ্যে অন্যতম। চলতি আর্থিক বছরে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে ৭.৪ শতাংশ হারে। এমনটাই পূর্বাভাস ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। যদিও দ্বিতীয় অর্থবর্ষে ফল খারাপ হওয়ায় সেই লক্ষ্যমাত্রায় কতটা পৌঁছনো যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।
জিডিপি কমলেও এখনও তা চিনের থেকে অনেকটাই বেশি। অর্থাৎ, জিডিপি কমলেও বৃদ্ধির হারের হিসেবে এখনও এশিয়াতে এক নম্বর স্থান ধরে রাখল ভারত।
(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)