কল কারখানার উৎপাদন বাড়ছে বলে দাবি সমীক্ষায়।
গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশের কল-কারখানায় রেকর্ড উৎপাদন বৃদ্ধি গত অক্টোবরেই। এমনটাই দাবি করা হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায়। তবে লকডাউনের জেরে এত দিন ধরে চুপসে থাকা অর্থনীতি দ্রুতগতিতে ফুলতে শুরু করলেও বহু সংস্থায় বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
চলতি অর্থ বছরের (২০২০-’২১) প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে গত ৪০ বছরের মধ্যে প্রথম শূন্যের নীচে নেমে গিয়েছিল জিডিপির হার। সেই ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে রবিবারই। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, করোনা পর্বে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জিএসটি আদায় হয়েছে অক্টোবরে,১ লক্ষ ৫ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। সেই অক্টোবরেই দেশের কল-কারখানায় উৎপাদন গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বলেই জানাচ্ছে আইএইচএস মার্কিট ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই)। অক্টোবরে বৃদ্ধির সূচক পৌঁছেছে ৫৮.৯ শতাংশে, যা ২০১০ সালের মে মাসের সূচকের থেকেও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই সূচক ৫০-এর উপরে থাকার অর্থ উৎপাদন বাড়ছে।
এই বৃদ্ধি দেখে আইএইচএস মার্কিট-এর সহকারী অধিকর্তা পলিআন্না ডি লিমা বলছেন, ‘‘বছরের শুরুতে করোনার কারণে উৎপাদন শিল্পে যে সঙ্কোচন হয়েছিল তা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘সংস্থাগুলি উপলব্ধি করেছে যে, উৎপাদিত জিনিসপত্রের চাহিদা বৃদ্ধি ভবিষ্যতেও সম্ভব।’’
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই ভোট আমেরিকায়, এগিয়ে বাইডেন॥ সমীক্ষা ‘ভুয়ো’, পাল্টা ট্রাম্পের
আরও পড়ুন: আমেরিকা থেকে বিহার, বাজারের চোখ বহু দিকে
বাজারে চাহিদা বাড়তে থাকায় কল-কারখানাগুলির উৎপাদন বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা। দেশীয় বাজারে এমন চাহিদা গত ১২ বছরের মধ্যে দেখা যায়নি বলে ওই সমীক্ষাটিতে দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদাও ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসের পর বেড়েছে বলেও জানাচ্ছে সংস্থাটি।