প্রতীকী ছবি।
উদ্বোধন হল ভারত-নেপাল জ্বালানি সরবরাহ পাইপলাইন। দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক জ্বালানি পাইপলাইন প্রকল্প। মঙ্গলবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপালে চিনের লগ্নি ও প্রভাব বৃদ্ধিতে বেশ কিছু দিন ধরেই উদ্বিগ্ন ভারত। নতুন এই উদ্যোগে কাঠমাণ্ডুর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক গভীর হবে। তা এই উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে কি না সেটাই এখন দেখার।
পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে প্রায় ২০ লক্ষ টন জ্বালানি নেপালে সরবরাহ করবে ভারত। এই মুহূর্তে যা যায় সড়ক পথে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে। নতুন প্রযুক্তির ফলে নেপালের জ্বালানি পরিবহণ খরচও কমবে। বস্তুত, ৩০ মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৫ মাসের রেকর্ড সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করেছে ভারত। প্রকল্পটির খরচ বহন করেছে (৩২৪ কোটি টাকা) তারাই।
এখন বছরে ২৬.৬ লক্ষ টন তেল ৪.৮ লক্ষ টন রান্নার গ্যাস ব্যবহার করে নেপাল। যা ভারতের বিভিন্ন ডিপো থেকে সড়কপথে নেপালের বেশ কয়েকটি জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়। ১৯৭৩ সাল থেকেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। পরিবহণ খরচ কমানোর জন্য নেপাল অয়েল কর্পোরেশনের সহযোগিতায় পাইপলাইন প্রকল্পটি গড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি)। যার মাধ্যমে বিহারের মোতিহারি থেকে নেপালের অমলেখগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে জ্বালানি। পাইপলাইনের দৈর্ঘ ৬৯ কিলোমিটার।
প্রকল্পের খুঁটিনাটি
• দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক জ্বালানি পাইপলাইন।
• বিহারের মোতিহারি থেকে নেপালের অমলেখগঞ্জ।
• দৈর্ঘ ৬৯ কিলোমিটার।
• সময় লেগেছে ১৫ মাস।
• নেপালে বছরে প্রায় ২০ লক্ষ টন জ্বালানি সরবরাহ করবে ভারত।
• এখন সরবরাহ হয় সড়কপথে।
মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি নিজেদের রাজধানী থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মোদী বলেন, ‘‘দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক পেট্রোলিয়াম পাইপলাইনের কাজ রেকর্ড সময়ের মধ্যে শেষ হল। এটা খুবই গর্বের ব্যাপার।’’ ওলির কথায়, ‘‘দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের শ্রেষ্ঠ উদাহরণ এই প্রকল্প।’’ তিনি জানান, এ দিনই নেপালে পেট্রলের দাম কমেছে।