দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী পদে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আর তার পরেই আর্থিক বৃদ্ধির হার তাঁকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। শুক্রবার গত ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) ও পুরো বছরের বৃদ্ধির হার প্রকাশ করবে পরিসংখ্যান দফতর। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় তাঁদের পূর্বাভাস, ওই ত্রৈমাসিকে তা দাঁড়াতে পারে ৬.৩%। ছয় ত্রৈমাসিকের সর্বনিম্ন। আর তা হলে চিনের (৬.৪%) কাছে দ্রুততম বৃদ্ধির দেশের তকমা হারাতে হবে ভারতকে।
আজ এক সমীক্ষায় বণিকসভা ফিকির মত, শেষ ত্রৈমাসিকে দেশে বৃদ্ধি দাঁড়াবে ৬.৫%। তা সত্যি হলে, সেই হারও হবে ছ’টি ত্রৈমাসিকে সর্বনিম্ন। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ছিল ৬.৬%। যা পাঁচ ত্রৈমাসিকে সব চেয়ে কম।
ভোটের আগে কল-কারখানায় ঢিমে উৎপাদন ও চাষিদের অসন্তোষ নিয়ে এমনিতেই চাপে ছিল মোদী সরকার। ক্রমাগত বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছিল তারা। যার জেরে ছোট চাষিদের নগদ টাকা ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের পেনশনের মতো প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। অনেকে বলছেন, আর এ বার আরও বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসার পরে প্রথমেই চাকরি তৈরি এবং অর্থনীতির কল-কব্জা ঠিক করার কাজে হাত দিতে হবে মোদী সরকারকে। যে কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করতে বিভিন্ন মন্ত্রককে ১০০ দিনের পরিকল্পনা তৈরির করার কথা বলেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
এর আগে চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৭.২% করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পূর্বাভাস কমিয়েছে খোদ পরিসংখ্যান দফতর এবং আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানও। ফিকি গত সপ্তাহেই জানিয়েছিল শহর এবং গ্রামে চাহিদা কমার লক্ষণ স্পষ্ট। পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিককালে চাহিদা কমেছে গাড়ি-সহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য শিল্পে। কল-কারখানার উৎপাদনও ঢিমে। ফলে সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতির ছবিটা খুব একটা ভাল নেই। যে কারণে আপাতত অর্থনীতিই দ্বিতীয় দফায় মোদী সরকারের মাথাব্যথা হতে চলেছে, তা স্পষ্ট বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।