প্রতীকী ছবি।
বন থেকে ছোট ডালপালা ও শুকনো পাতা কুড়িয়ে আনা থেকে শুরু করে যথাসম্ভব কম কর্মী নিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা চালানোর মতো আরও বেশ কয়েকটি কাজে শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুক্রবার বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, বন থেকে শুকনো পাতা ইত্যাদি কুড়িয়ে আনার মতো কাজে ছাড় দেওয়া হবে। তফসিলি জাতি বা যাঁদের জীবন-জীবিকা অনেকাংশে বনের উপরে নির্ভরশীল, তাঁরা কাঠ ছাড়া অন্যান্য সামগ্রী এনে তা ব্যবহার করে তৈরি করতে পারবেন জিনিসপত্রও। এ ছাড়া, বাঁশ, নারকেল, কোকো, মশলার চাষ, ওই সব পণ্যকে প্যাকেটবন্দি করে বাজারে পাঠানোকেও ছাড় দেওয়া হয়েছে।
হাউসিং ফিনান্স কোম্পানি-সহ ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলি যথাসম্ভব কম কর্মী নিয়ে কাজ চালু করতে পারবে। ছাড় দেওয়া হয়েছে সমবায় ঋণদাতা সংস্থাগুলিকেও। এ ছাড়া গ্রামে জল সরবরাহ, নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বা ইন্টারনেটের তার পাতা-সহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজকে ছাড়ের আওতায় আনা হয়েছে।
৩ মে পর্যন্ত দেশে লকডাউন জারি থাকলেও, করোনা সংক্রমণ থাবা না-বসানো অঞ্চলে ২০ এপ্রিল থেকে কিছু আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরুর কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। তার প্রথম দফার তালিকা প্রকাশ হয়েছে আগেই। তার সঙ্গে এ বার জুড়ল এই সব কাজও।
এ দিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের চিহ্নিত ‘হটস্পট’গুলি ছাড়া বাকি এলাকায় কিছু ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন সেই সব এলাকায় জুট মিল, ছোট কারখানা, ধান কাটা, চা বাগানের কাজ চলবে। তবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কোনও ভাবেই কোনও কাজ করা চলবে না।