প্রতীকী ছবি।
করোনার কোপ যে সব লন্ডভন্ড করতে চলেছে, সেটা এত দিনে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন শুধু, কতটা? বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, মার্চে দেশের আটটি মূল পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উৎপাদনের হার আগের অর্থবর্ষের একই সময়ের তুলনায় সরাসরি কমেছে ৬.৫%। সাতটি ক্ষেত্রই সঙ্কুচিত হয়েছে। উৎপাদনের হার বেড়েছে শুধু কয়লার। এর আগে এত খারাপ অবস্থা কখনও দেখা যায়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটা হওয়ারই ছিল। ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মার্চেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। থমকে গিয়েছে যাবতীয় আর্থিক কর্মকাণ্ড। বরং অনেক বেশি কাঁপুনি ধরাচ্ছে এপ্রিলের হার কী হবে, তাই নিয়ে দুশ্চিন্তা। কারণ, এই মাসের পুরোটাই কল-কারখানার চাকা ঘোরেনি। আগের বছরের মার্চে এই আট পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮%। আর আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে ৭%।
সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, আঁৎকে উঠতে হতে পারে আগামী দিনে শিল্পোৎপাদনের হার দেখেও। কারণ, সামগ্রিক শিল্প উৎপাদনের সূচকে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের অংশীদারি প্রায় ৪০.২৭%। ফলে পরিকাঠামোর রেকর্ড সঙ্কোচন হলে, তার ছাপ পড়তে বাধ্য সেখানে।
মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার ভাইস প্রেসিডেন্ট অদিতি নায়ার অবশ্য বলছেন, ‘‘এটা পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সব থেকে খারাপ অবস্থার প্রতিফলন ঠিকই। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে যতটা খারাপ হবে বলে ভয় পেয়েছিলাম, ততটা নয়।’’ তবে সেই সঙ্গে উদ্বেগ আর এক দফা উস্কে দিয়ে অদিতির ইঙ্গিত, পরিকাঠামো, গাড়ি এবং তেল বাদে অন্যান্য পণ্যের রফতানির এখন যে রকম বিপর্যস্ত অবস্থা, তাতে তাঁরা মার্চের শিল্পোৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
আরও পড়ুন: কর্মীদের বেতন ছাঁটছে রিলায়্যান্সও
তবে গত অর্থবর্ষের (২০১৯-২০) পুরো সময়ে পরিকাঠামোয় উৎপাদন সামান্য হলেও বেড়েছে ০.৬%। যেখানে তার আগের অর্থবর্ষে (২০১৮-১৯) সেই হার ছিল ৪.৪%।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)