নেপথ্যে ‘নেস্ লে’। —ফাইল চিত্র।
ভারতের মোস্ট ফেভার্ড নেশন (এমএফএন) বা ‘সবচেয়ে পছন্দের দেশের’ তকমা তুলে নিল সুইৎজ়ারল্যান্ড। এর ফলে ১ জানুয়ারি থেকে সে দেশে আয়ের উপরে হওয়া ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশে বেশি (১০%) কর দিতে হবে ভারতীয় সংস্থাগুলিকে। বেশি হার প্রযোজ্য হবে সে দেশের কোনও ব্যক্তির এখানে হওয়া আয়ের ক্ষেত্রে করে ছাড় চাইলে। সম্প্রতি নেওয়া এই সিদ্ধান্তের পিছনে সুপ্রিম কোর্টে দুই দেশের মধ্যে দ্বৈত কর সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে সুইস সংস্থা নেস্লের এক মামলার প্রসঙ্গ তুলেছে সুইস অর্থ দফতর। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, এই প্রেক্ষিতে দু’দেশেরদ্বৈত কর চুক্তি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন হতে পারে। সুইৎজ়ারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিখটেনস্টাইনের সঙ্গে মার্চে বাণিজ্য চুক্তি করেছে ভারত। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখার ইঙ্গিত দেন মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
দ্বৈত চুক্তির অধীনে আপনা থেকেই পছন্দের তকমা বসবে কি না, তা নিয়ে মতান্তর রয়েছে ভারত ও সুইৎজ়ারল্যান্ডের। গত বছর ভারতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, এই তকমা আপনা থেকে বসবে না। এ জন্য আয়কর আইন অনুসারে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সুইৎজ়ারল্যান্ড মনে করে ভারত দ্বৈত চুক্তি মানা নিয়ে নিজেদের কথা রাখছে না, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে সেখানে ব্যবসা করা ভারতীয় মূলত তথ্যপ্রযুক্তি, ওষুধ ও আর্থিক পরিষেবা সংস্থাগুলি অসুবিধায় পড়বে।সুইস সংস্থাগুলি ভারতে ব্যবসায়িক পরিকল্পনা পাল্টালে কয়েক হাজার কোটি ডলার লগ্নিও হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি করার আগে কেন্দ্রকে কৌশলে চলতে হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের উপদেষ্টা জিটিআরআই-এর।
কেন্দ্রের দাবি: নেস্লের শিশুখাদ্যে চিনির মাত্রা সীমার মধ্যেই রয়েছে বলে শুক্রবার লোকসভায় জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা। যা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল সংস্থাটির বিরুদ্ধে। নড্ডা বলেন, বেশি চিনি মেশানো নিয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছিল। এপ্রিলে সংস্থার সংশ্লিষ্ট কারখানা ঘুরে দেখা হয়। দেখা গিয়েছে, নেস্লের শিশুখাদ্যে খাদ্য সুরক্ষা ও মান নীতি, ২০২০ অনুসারে নির্ধারিত মাত্রার তুলনায় বেশি চিনি মেশানো হয় না।