ওপেক থেকে নজর ফিরিয়ে জোর বিকল্প জ্বালানিতে

আমদানি নির্ভরতা কমাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই তেল উৎপাদন বাড়াচ্ছে আমেরিকা। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিতে ক্রমাগত উৎপাদন বাড়িয়ে গিয়েছে সৌদি আরব, ভেনিজুয়েলার মতো ওপেক সদস্যরা। এর জেরে এক সময়ে প্রতি ব্যারেলের দাম নামে প্রায় ৩০ ডলারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

ওপেক-এর অশোধিত তেল উৎপাদনে রাশ টানার সিদ্ধান্ত। আর তার জেরে বিশ্ব বাজারে ফের তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা— এই দুয়ের জেরেই অপ্রচলিত শক্তির উপর আরও বেশি করে জোর দিতে চায় ভারত। সম্প্রতি এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পাশাপাশি, ওপেকের উপর নির্ভরতা কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির থেকেও তেল আমদানির পথে হাঁটা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

আমদানি নির্ভরতা কমাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই তেল উৎপাদন বাড়াচ্ছে আমেরিকা। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিতে ক্রমাগত উৎপাদন বাড়িয়ে গিয়েছে সৌদি আরব, ভেনিজুয়েলার মতো ওপেক সদস্যরা। এর জেরে এক সময়ে প্রতি ব্যারেলের দাম নামে প্রায় ৩০ ডলারে। যার প্রভাব পড়েছে ওই দেশগুলির অর্থনীতিতেও। তখনই দামের পতনে বাঁধ দিতে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওপেক।

দর বেড়ে এখন পৌঁছেছে ব্যারেলে ৫০ ডলারের উপরে। এর মাঝেই সম্প্রতি আরও ন’মাস উৎপাদনে রাশ টেনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির এই সংগঠন। প্রধানের আশঙ্কা, দাম কমাতে গিয়ে ওপেক বেশি দিন ধরে তেল উৎপাদন ছাঁটাই বহাল রাখলে, তা শেষ পর্যন্ত লগ্নিতে ভাটা ডেকে আনবে। আর তা হলে দীর্ঘ মেয়াদে তেলের দাম বাড়বে।

Advertisement

এই অবস্থায় আমদানি খরচ কমাতে অপ্রচলিত শক্তিতেই ভরসা রাখছে ভারত। বিশেষ করে প্যারিসের জলবায়ু সংরক্ষণ চুক্তি মেনে চলতে গিয়ে জৈব ডিজেল-সহ অন্যান্য বিকল্প শক্তি ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান। ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য থেকে এই ডিজেল তৈরির উপর আস্থা রাখছেন তেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর সঙ্গেই সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ দিচ্ছে কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement