—প্রতীকী ছবি।
একটা সময়ে দাম ছিল মাত্র তিন টাকা। এ হেন পেনি স্টকের বিনিয়োগকারীদের ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’। মাল্টিব্যাগার হওয়ায় সবচেয়ে দামি হয়েছে সেই শেয়ার। পিছনে ফেলে দিয়েছে জনপ্রিয় টায়ার সংস্থা ‘এমআরএফ’-কে। বর্তমানে ওই সংস্থার এক একটি স্টকের দর পৌঁছেছে ২.৩৬ লক্ষ টাকায়। আগামী দিনে যা ৪ লক্ষ টাকা ছাড়াবে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকেরা।
মাল্টিব্যাগার যে শেয়ার একদিনে লগ্নিকারীদের লাখপতি করেছে, তা ‘এলসিড ইনভেস্টমেন্ট’-এর। মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর স্টক বাজারে ইতিহাস তৈরি করে এই সংস্থা। ওই দিন বাড়তে বাড়তে একটা সময়ে ৩.৫৩ লাখ টাকায় পৌঁছয় এর একটি শেয়ারের দর। পরে তা নেমে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকায় চলে আসে।
এত দিন পর্যন্ত শেয়ার বাজারে সবচেয়ে দামি স্টক বলতে বোঝাত এমআরএফকে। টায়ার নির্মাণকারী সংস্থাটির এক একটি শেয়ারের কিনতে লাগছে ১.২৩ লক্ষ টাকা। সেই রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে গিয়েছে এলসিড ইনভেস্টমেন্ট। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা খরচ করে যে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার স্টক কিনেছিলেন, আজ তাঁরা ২৫০ কোটির মালিক হয়ে গিয়েছেন।
অথচ ২০১১ সালে তিন টাকা থেকে ১৫ টাকায় উঠে এসেছিল এনসিডের শেয়ার। হঠাৎ করেই এই স্টকের দর এতটা বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে বিশেষ একটি কারণের কথা বলা হয়েছে। মূল্য ব্যান্ড ছাড়াই বিশেষ একটি নিলামের জেরে এর দাম এতটা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এলসিডের স্টক প্রতি বুক ভ্যালু ৪ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। যা বাজারের অবমূল্যায়ণকে চিহ্নিত করছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তবে রেকর্ড দাম বৃদ্ধি সত্ত্বেও এই সংস্থার শেয়ার কেনার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ এই স্টক মূলক একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যেই কেনাবেচা করা হয়।
এলসিড এবং এমআরএফ বাদে ভারতের দামি শেয়ারের তালিকায় নাম রয়েছে পেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, হানিওয়েল অটোমেশন ইন্ডিয়া, শ্রীসিমেন্ট, থ্রিএম ইন্ডিয়া এবং লক্ষ্মী মেশিন ওয়ার্কস। এগুলির অধিকাংশরই এক একটি শেয়ারের দাম ১০ হাজার টাকার বেশি।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)