চড়া দাম আনাজের। প্রতীকী চিত্র।
বাজারে কাঁচা আনাজে হাত ছোঁয়াতে গেলে ছেঁকা লাগছে। মাছ-মাংসেরও একই অবস্থা। আর বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম কমা সত্ত্বেও দেশে রান্নার গ্যাসের দাম স্থির। সব মিলিয়ে বাড়ির বাজেট সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন গৃহস্থ। কিন্তু তা সত্ত্বেও জুনে দেশের খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার তেমন বাড়েনি বলেই মনে করছে বার্কলেজ়। তাদের মতে, গত মাসে ওই হার থাকতে পারে ৪.২৬ শতাংশের আশপাশে। যা মে মাসে ছিল ৪.২৫%। ব্রিটেনের ব্রোকারেজ সংস্থাটির ব্যাখ্যা, মে-র তুলনায় জুনে জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বাড়লেও এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ মরসুমের বদল। গত বছরের একই সময়ের ভিতের নিরিখে হিসাব কষলে দামের পরিবর্তন ততটা বেশি নয়। সেই ভিত ছিল অনেকটাই উঁচু।
দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারকে নিয়মিত আক্রমণ করছেন বিরোধীরা। আজ দিল্লির শাস্ত্রী ভবনের সামনে যুব কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। এই পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি নোট তৈরি করেছেন বার্কলেজ় ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদেরা। সেখানে বলা হয়েছে, বর্ষা দেরিতে আসায় ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে চলেছে টম্যাটো, আলু, পেঁয়াজ-সহ বিভিন্ন আনাজের দাম। আমিষের দামও ঊর্ধ্বমুখী। সুরাহা নেই রান্নার গ্যাসেও। খুচরো মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে ৬০% জুড়ে রয়েছে খাদ্য এবং জ্বালানি। বাকি অংশের মধ্যে বেড়েছে পোশাক, জুতো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন-সহ বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার খরচ। কিন্তু সমীক্ষকদের বক্তব্য, মাসের হিসাবে দাম বাড়লেও এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ মরসুম। যেমন, গরমে আনাজ-সহ পচনশীল খাদ্যের দাম বাড়ে। এক বছর আগের উঁচু ভিতের নিরিখে সেই হারের পরিবর্তন বড় কিছু নয়। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার মে মাসের ৩.৩% থেকে বেড়ে জুনে হতে পারে ৩.৫%। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে বাকি অংশের ক্ষেত্রে তা হতে পারে ৫.১৭%, যা মে মাসে ৫.১৫% ছিল। সব মিলিয়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৪.২৬%।
নোটে বলা হয়েছে, ভোজ্য তেল সম্ভবত একমাত্র পণ্য যার দাম সম্প্রতি কমেছে। বিশ্ব বাজারে দাম কমায় দেশেও তার দাম মাথা নামিয়ছে।