ফাইল চিত্র।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক মোদী সরকারকে ৯৯,১২২ কোটি টাকা ডিভিডেন্ড দেওয়ার পরেই অর্থনীতিবিদেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ডলার বেচে কি বাড়তি আয়ের পথ খোলা হয়েছে? আজ শীর্ষ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশের পরে দেখা গেল, সেটাই সত্যি! গত জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ, এই নয় মাসে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন বা ডলার বেচে ৫০,৬২৯ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৯-২০ গোটা অর্থবর্ষে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন থেকে তাদের আয় ছিল ৩০,০০০ কোটি টাকারও কম।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক কেন্দ্রকে ৯৯,০০০ কোটি টাকার বেশি ডিভিডেন্ড দেওয়ায় কোভিডের বছরে স্বাভাবিক ভাবেই অর্থ মন্ত্রকের মুকে হাসি ফুটেছে। কারণ ২০১৯-২০-তে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া ডিভিডেন্ড ছিল ৫৭,০০০ কোটি টাকার মতো। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, শীর্ষ ব্যাঙ্ক অতীতে কম দামে কেনা ডলার চলতি বাজার দরে বেচে দিয়েছে। আবার এখনকার বাজার দরে ডলার কিনেছে। ফলে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে ডলার বা বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার না কমলেও, প্রতি ডলার বেচায় মুনাফা হয়েছে। সেটাই বিদেশি মুদ্রার লেনদেন থেকে মুনাফা হিসেবে রিপোর্টে উঠে এসেছে।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের ব্যাখ্যা, বিমল জালান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী হিসেবের পদ্ধতি বদলে যাওয়াতেই বিদেশি মুদ্রার লেনদেন থেকে মুনাফা ডিভিডেন্ড হিসেবে সরকারকে দেওয়া যাচ্ছে। আগে তা করা যেত না। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক কেন্দ্রকে বাড়তি ডিভিডেন্ড দিতে ডলার কেনাবেচা করছে না, এই আস্থাটুকু থাকা দরকার। না-হলে ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।