ডলারের ঢেউয়ে বেসামাল বন্দর   

নভেম্বরে চোট খেয়েছে সব সেই পণ্যের রফতানিও, যেগুলি তৈরি হয় আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে যেখানে ৫৬,২৮২টি কন্টেনার রফতানি হয়েছিল, সেখানে এ বছর তা কমে ৫১,৯০৭টি।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:০৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

গত বছর এক সময় নাগাড়ে কমছিল টাকার দাম। দাম চড়ছিল ডলারের। হালে মার্কিন মুদ্রার দর বেশ কিছুটা মাথা নামিয়েছে। কিন্তু চড়া ডলারের ধাক্কা এড়াতে পারছে না কলকাতা বন্দর। অগস্ট থেকেই সেখানে বাক্সবন্দি পণ্য আমদানি কমে চলেছে। এতটাই যে, পাঁচ বছরে প্রথম বার কমে গিয়েছে কন্টেনার (বাক্স) আসার সংখ্যা। কমছে কন্টেনারবাহী জাহাজও। কারণ, আমদানিকারী সংস্থাগুলি নিতান্ত প্রয়োজন না পড়লে জিনিসপত্র আনছে না।

Advertisement

নভেম্বরে চোট খেয়েছে সব সেই পণ্যের রফতানিও, যেগুলি তৈরি হয় আমদানি করা কাঁচামাল দিয়ে। ২০১৭ সালের নভেম্বরে যেখানে ৫৬,২৮২টি কন্টেনার রফতানি হয়েছিল, সেখানে এ বছর তা কমে ৫১,৯০৭টি। বন্দর কর্তাদের ইঙ্গিত, টাকার দাম হালে কিছুটা বাড়লেও, এই দুর্ভোগ জারি থাকতে পারে আরও কয়েক মাস।

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে কলকাতা ডকে বাক্সবন্দি পণ্য আমদানি-রফতানির কারবার চলে সব থেকে বেশি। বন্দর কর্তাদের দাবি, যে সময়ে চুক্তি হয়, তার দেড়-দু’মাস পরে আমদানি হয় পণ্য। ফলে গত এপ্রিল-মে পর্যন্ত যে চুক্তি হয়েছিল, তা পরের দেড়-দু’মাসে এসেছিল। কিন্তু তার মধ্যেই টাকা নাগাড়ে পড়ায় আমদানিকারী সংস্থাগুলি বিপুল লোকসানে পড়ে। তার জেরেই অগস্ট থেকে টানা কন্টেনারের সংখ্যা কমছে।

Advertisement

আমদানিতে ধাক্কা

মাস ২০১৭ ২০১৮

অগস্ট ৩০,৫৯২ ২৭,৫৬১

সেপ্টেম্বর ২৮,০৯৬ ২৭,৯৩৫

অক্টোবর ২৭,২০৮ ২৭,১০৪

নভেম্বর ২৬,৪৫০ ২৫,০৫৪

যদিও কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার বলেন, ‘বাল্ক কার্গো’ বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। বন্দরে বাক্সবন্দি পণ্যের জাহাজের সংখ্যা ও পণ্যের পরিমাণ কমতে থাকায় গত পাঁচ মাসে আয়ও কমেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চেষ্টা চলছে অন্যান্য পণ্য বাড়িয়ে সেই লোকসান মেটানোর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement