ফাইল ছবি
অতিমারির তিন ঢেউ পার করে দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ডের চাকায় গতি বৃদ্ধি এবং অপেক্ষাকৃত দ্রুত গরম পড়া, এই জোড়া কারণে হঠাৎই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা মাথাচাড়া দিয়েছিল। উৎপাদন বাড়লেও তা সেই চাহিদা মেটানোর জায়গায় পৌঁছতে পারছিল না। তবে কয়লার আমদানি বাড়িয়ে পরিস্থিতি অনেকটা সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যে সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে দেশে উত্তোলন করা কয়লা ব্যবহার করা হয় সেখানে আমদানিকৃত কয়লা মেশানোর ফলে চলতি মাসে দৈনিক গড় উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ১৪.৩ কোটি ইউনিট। যা এক বছর আগে ৬.৬ কোটি ইউনিট ছিল। অর্থাৎ, ওই কেন্দ্রগুলিতে এক বছর আগের তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। পাশাপাশি, যে সমস্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র শুধু আমদানি করা কয়লা ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে গড় উৎপাদন ১৪.৫ কোটি ইউনিট থেকে বেড়ে ১৬ কোটি ইউনিট হয়েছে।
গরম পড়তেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছিল সারা দেশে। বিভিন্ন রাজ্যে সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে তাদের প্রয়োজনের ১০% কয়লা বিদেশ থেকে আমদানির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। যদিও তার অতিরিক্ত দাম এবং অতিরিক্ত পরিবহণ খরচ উৎপাদন সংস্থাগুলি কী ভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। কারণ, নগদের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলির একাংশ এখন রীতিমতো রুগ্ণ। কেন্দ্রে দাবি, সেই সমস্যা মেটাতে তাদের জন্য সহজে স্বল্পমেয়াদি ঋণের ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে।