—প্রতীকী চিত্র
গত দেড় বছরে বিমা-সহ বিভিন্ন খরচ বাড়ায় দু’চাকার গাড়ি কিনতে ক্রেতাকে গড়ে ৮৫০০-১০,০০০ টাকা বেশি ঢালতে হচ্ছে। অন্যান্য গাড়ির পাশাপাশি বেশ কিছু দিন ধরে নাগাড়ে দু’চাকার বিক্রি কমার কারণ হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে এই বাড়তি খরচকেও। সেই সঙ্গে ঝিমিয়ে থাকা অর্থনীতিতে মাথা তোলা আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং তার জেরে আমজনতার গাড়ি না-কেনার ঝোঁক তো আছেই। এই পরিস্থিতিতে উপদেষ্টা সংস্থা ইক্রার সমীক্ষা জানাল, দুর্ভোগ এখানেই শেষ হয়নি। বাকি সব গাড়ির মতো এপ্রিল থেকে নতুন দূষণ বিধি (বিএস৬) মেনে রাস্তায় দৌড়তে হবে দু’চাকাকেও। তার জন্য বদল আনতে হবে সেগুলির প্রযুক্তিতে। ফলে বাড়বে খরচ। ইক্রার দাবি, এর জেরে এগুলির চাহিদা অদূর ভবিষ্যতে দুর্বলই থাকবে।
দূষণ কমাতে চালু করা বিএস-৬ মাপকাঠি মেনে তৈরি নতুন সব ধরনের গাড়ির দামই কিছুটা বাড়বে। ইক্রা জানাচ্ছে, এখন দু’চাকার গাড়িতে যে ‘কারবুরেটর’ ব্যবস্থা থাকে, তা বদলে তখন চালু হবে ‘ইলেকট্রনিক ফুয়েল ইঞ্জেকশন’ (ইএফআই) ব্যবস্থা। বদল আসবে জ্বালানির ভাণ্ডার-সহ অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রেও। সব মিলিয়ে বিএস-৬ বিধির আওতায় দু’চাকা তৈরির খরচ বাড়বে ১০%-১৫%।
ইক্রার মতে, দাম বড়লে গাড়ি কেনার উপরেও তার প্রভাব পড়বে। তা-ও এমন একটা সময়ে যখন গ্রামে রোজগারে ধাক্কা লাগায় বিক্রি কমেছে দু’চাকার। এতদিন যেখানে সব থেকে বেশি বিক্রি হত এই গাড়ি।
এই অবস্থায় বাড়তি খরচের আঁচ কমাতে ঋণের সুবিধা আরও বাড়ানোর কথাও উঠছে। ইক্রার দাবি, কিছু ঋণদাতা সংস্থা তিনের বদলে চার বছরের জন্য ঋণ দিতে শুরু করেছে। ফলে গোড়ায় বাড়তি ইএমআইয়ের ধাক্কা তাতে কিছুটা প্রশমিত হবে।