মুম্বইয়ে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে করোনা আতঙ্কে মুখোশ পরে বৃদ্ধ। ছবি: পিটিআই
করোনাভাইরাসের থাবায় ডুবেই চলেছে শেয়ার বাজার। সোমবারও ২৭০০ পয়েন্টেরও বেশি নেমে বন্ধ হল সেনসেক্স। নিফটির পতন ৭৫৭ পয়েন্ট। গত সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার ৪৫ মিনিটের জন্য বাজার বন্ধ থাকার পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সোমবার ফের ধস বাজারে। দিনের শেষে সেনসেক্স ৩২ হাজারের সামান্য উপরে। নিফটি ৯২০০ পয়েন্টের কাছাকাছি। ডলারের তুলনায় টাকার দাম পড়েছে ৫৪ পয়সা।
শুক্রবার বাজারে কিছুটা গতি আসায় লগ্নিকারীরা আশা করেছিলেন, হয়তো কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে বাজার। তবে বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের আশঙ্কা ছিল, করোনার সংক্রমণ যে ভাবে দেশে এবং গোটা বিশ্বে ছড়াচ্ছে, তাতে ফের নিম্নমুখী হবে বাজার। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই সোমবার খুলল বাজার। আর বেলা যত গড়াল বাজার ক্রমেই নামল তলানিতে।
সোমবার সকাল ৯টায় বাজার খোলার পর থেকে সেনসেক্স ১৫০০ থেকে ২০০০ অঙ্ক নীচে নেমে ঘোরাফেরা করলেও দুপুরের পর থেকে শুরু হয় আরও পতন। এক সময় ২৮০০-রও বেশি পতন হয় মুম্বই শেয়ার সূচকের। তবে শেষ দিকে কিছুটা উঠে ৩১৩৯০.০৭ অঙ্কে বন্ধ হয় বাজার। পতন ২৭১৩.১৪ পয়েন্ট (৭.৯৬%)। সমান তালে পড়তে থাকে নিফটির সূচকও। এক সময় ৭৯০ পয়েন্ট নেমে যায়। তবে শেষের দিকে কিছুটা উঠে ৯১৯৭.৪০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। পতন ৭৫৭.৮০ (৭.৬১%)। বাজার বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই আশঙ্কা, করোনার জেরে বাজারের এই পতন খুব তাড়াতাড়ি থামার সম্ভাবনা কম।
আরও পড়ুন: করোনা: রাজ্যে ৪৮ ঘণ্টায় গৃহ-পর্যবেক্ষণে সাড়ে ৩ হাজার
ইয়েস ব্যাঙ্কের পুনরুজ্জীবনের প্যাকেজ চূড়ান্ত হওয়ার পর সোমবারই প্রথম খুলল শেয়ার বাজার। আবার আজই লিস্টিং হয়েছে এসবিআই কার্ড আইপিও-র। এই দুই সম্ভাবনায় বাজারে গতি আসতে পারে বলে লগ্নিকারীরা আশায় ছিলেন। কিন্তু করোনা আতঙ্কে ক্রমাগত শেয়ার বিক্রি করেছেন লগ্নিকারীরা। ফলে এসবিআই কার্ড আইপিও লিস্টেড হয়েছে ক্রয়মূল্যের (৭৫৫) প্রায় ১০০ টাকা নীচে। বাড়তে বাড়তে এক সময় ওই ৭৫৫ টাকা ছুঁয়ে ফের নিম্নমুখী হতে থাকে এসবিআই কার্ডের শেয়ার। বন্ধ হয়েছে ৬৮১.৪০ টাকায়। অন্য দিকে, ইয়েস ব্যাঙ্কের ৭৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির উপর তিন বছরের জন্য লাগাম পরালেও এ দিন দাম বেড়েছে ৪৫.২১%। বন্ধ হয়েছে ৩৭.১০ টাকায়। শুক্রবারের তুলনায় বৃদ্ধি ১১.৫৫ টাকা।