Housing Industry

housing industry: আটটি বড় শহরে বাড়ি বিক্রি বেড়েছে, তবে সস্তায় উন্নতি কম

বাড়ির বিক্রি বাড়লেও সামগ্রিক আবাসন বিক্রির নিরিখে হিসেব কষলে তার অংশীদারি কমেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২২ ০৬:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ যথেষ্ট দীর্ঘ সময় ধরে ব্যতিব্যস্ত করেছে গত ক্যালেন্ডারবর্ষকে। তা সত্ত্বেও নিচু সুদের হার এবং সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের আটটি প্রধান শহরে ২০২১ সালে বাড়ি ও ফ্ল্যাটের চাহিদা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। জমি-বাড়ি কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রপটাইগারের বার্ষিক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর ওই আট শহরে মোট ২,০৫,৯৩৬ ইউনিট আবাসন বিক্রি হয়েছে। যা ২০২০ সালের (১,৮২,৬৩৯) তুলনায় ১৩% বেশি।

Advertisement

দিল্লি ও সংলগ্ন রাজধানী অঞ্চল, মুম্বই (নবী মুম্বই, ঠাণে-সহ), পুণে, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং আমদাবাদে সমীক্ষা চালিয়ে রিপোর্টটি তৈরি করেছে প্রপটাইগার। সেখানে জানানো হয়েছে, গত বছর ওই সমস্ত অঞ্চলে যত বাড়ি বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে ৪৩% অংশীদারি রয়েছে ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ির। যা এক বছর আগে ৪৮% ছিল। এগুলিকেই সস্তা বাড়ি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আবার ৭৫ লক্ষ টাকার বেশি দামি বাড়ির অংশীদারি ২৫% থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১%। ৪৫ লক্ষের বেশি থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়ির ক্ষেত্রে তা ২৫% থেকে বেড়ে ২৬% হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, অতিমারির প্রভাব কমে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও তার সফল যে বিত্তশালীদের হাতেই বেশি পৌঁছেছে তা বিভিন্ন সমীক্ষায় পরিষ্কার হয়েছে। বাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রেও তার প্রতিফলন ঘটে থাকতে পারে। যেখানে সস্তা বাড়ির বিক্রি বাড়লেও সামগ্রিক আবাসন বিক্রির নিরিখে হিসেব কষলে তার অংশীদারি কমেছে। উল্টে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে বেশি দামি বাড়ির বিক্রি।

Advertisement

আবাসন ক্ষেত্রের বিভিন্ন পক্ষের ব্যাখ্যা, অতিমারির সময়ে বাড়ি থেকে কাজের পরিসর বেড়েছে। করোনার প্রভাব কমে এলেও কাজের বাজারে সেই ছবি যে আরও বেশ কিছু দিন চলবে তা পরিষ্কার। আবার করোনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বহু মানুষ জোর দিচ্ছেন পরিবারকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে রাখার দিকে। যেখানে থাকবে অনেক খোলামেলা জায়গা। প্রপটাইগার ডট কমের গ্রুপ সিইও ধ্রুব আগরওয়াল বলেন, ‘‘গৃহ ঋণে নিচু হারের সুদ, কম দামি বাড়ির ক্ষেত্রে বাড়তি করছাড় এবং সুদে ভর্তুকি প্রকল্পের মতো সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এই সমস্ত কারণে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ সত্ত্বেও ২০২১ সালে বাড়ি কেনা বেড়েছে।’’ সস্তা বাড়ির দামের ঊর্ধ্বসীমা আরও বাড়ানো, করছাড়ের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন রাজ্যে স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় চালু রাখলে চলতি বছরে এই ক্ষেত্রটি আরও চাঙ্গা হবে বলেও মত তাঁর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement