Vivad Se Biswas

সরকারি বিলে হিন্দি শব্দ! ক্ষিপ্ত বিরোধীরা

সরকারি বিলের মধ্যে হিন্দি শব্দ ঢুকে পড়ল। যা নিয়ে আপত্তি তুলে লোকসভায় বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:২০
Share:

নির্মলা সীতারামন।

সরকারি বিল। তার উদ্দেশ্য কর সংক্রান্ত আইনি মোকদ্দমা একবারে মিটিয়ে রাজস্ব আয় বাড়ানো। কিন্তু সেই সরকারি বিলের মধ্যে হিন্দি শব্দ ঢুকে পড়ল। যা নিয়ে আপত্তি তুলে লোকসভায় বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Advertisement

বাজেটেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, বিভিন্ন ট্রাইবুনাল ও আদালতে কর বিবাদ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করতে সরকার ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ নামের একটি প্রকল্প নিয়ে আসবে। যেখানে করদাতারা আয়কর দফতরের দাবি মতো বকেয়া কর মিটিয়ে দিলেই মামলা তুলে নেওয়া হবে। তাকে কোনও জরিমানা বা সুদ দিতে হবে না। আজ তার জন্য লোকসভায় ‘ডিরেক্ট ট্যাক্স বিবাদ সে বিশ্বাস বিল’ পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ তোলেন, ‘‘নোট বাতিলের পরে যাঁরা কালো টাকা জমা করেছিলেন এবং যাঁরা আয়কর দফতরের আতসকাঁচের তলায় রয়েছেন, তাদের সরকার এখন খোলাছুট দিয়ে দিচ্ছে। কোনও গয়নার ব্যবসায়ী নোট বাতিলের আগে ১ কোটি টাকা ব্যবসা দেখিয়েছে। মোট বাতিলের পরে ১০ কোটি টাকা জমা করেছে। এখন সে শুধু কর মিটিয়েই ছাড় পেয়ে যাবে। কোনও জরিমানা দিতে হবে না।’’ কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর বলেন, ‘‘সরকার সৎ ও অসৎ করদাতাদের মধ্যে আর ফারাক রাখছে না।’’ বিলের পক্ষে নির্মলা যুক্তি দেন, বিভিন্ন স্তরে প্রায় ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার মামলা ঝুলে রয়েছে। বকেয়া অর্থের পরিমাণ ৯.৩২ লক্ষ কোটি টাকা। যেহেতু ৩১ মার্চ সময়সীমা স্থির করা হয়েছে, সে কারণে তড়িঘড়ি বিল পেশ করা হচ্ছে।

Advertisement

বিলের নামকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ তোলেন, ‘‘আমরা কখনও এমন নামকরণ দেখিনি। হয় বিল ইংরেজিতে হয়, নয় হিন্দিতে। আমাদের বহু ভাষাভাষি দেশ। ভারতে শুধু ৪৩ শতাংশ লোক হিন্দি বলে। তা-ও ভোজপুরি ধরে। এ দেশে ১৬৫২টি ভাষা রয়েছে। তার মধ্যে ৬৩টি ভারতীয় ভাষাও নয়। কৌশলে সরকার দেশের বাকি অংশে হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে।’’ নির্মলা নিজে দক্ষিণ ভারতীয়। তাঁকে অধীর প্রশ্ন করেন, ‘‘দক্ষিণ ভারতে এই বিবাদের অর্থ কে বুঝবে? আপনার রাজ্যে বিবাদ সে বিশ্বাস কে বুঝবে?’’

সাধারণত যে কোনও সরকারি বিলের ইংরেজি খসড়ায় হিন্দি শব্দ থাকে না। হিন্দি খসড়ায় ইংরেজির তর্জমা করা হয়। এই ধরনের হিন্দি-ইংরেজি মিশিয়ে নামকরণের বিল আগে এসেছে বলেও সাংসদরা মনে করতে পারেননি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বাজেট বক্তৃতায় দু’রকম ভাষায় বিষয়টি বলেছিলাম।’’ কিন্তু নামকরণে হিন্দি শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement