প্রতীকী ছবি।
কাঁচামালের দাম চড়েছে হুহু করে। আর তার জেরে বেসামাল দেশের করোগেটেড বাক্স তৈরির শিল্প।
করোগেটেড কাগজের বাক্সে পণ্য ভরে বিক্রি হয়। ক্রাফ্ট পেপার এই বাক্স তৈরির প্রধান উপাদান। আর মূলত করোগেটেড বাক্সের বাতিল ও বর্জ্য কাগজ পুনর্ব্যবহার করে ক্রাফ্ট পেপার তৈরি করে কাগজকল। ফেডারেশন অব করোগেটেড বক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মিলন দে জানান, বর্তমানে ক্রাফ্ট পেপারেরই চূড়ান্ত অভাব দেখা দিয়েছে বাজারে। ফলে দাম চড়ছে তার।
বাক্স তৈরির সংস্থাগুলির দাবি, প্রায় ৩০%-৩৫% দাম বাড়িয়েছে কাগজকলগুলি। আগে কখনও এমন হয়নি। ফলে কাঁচামালে হাত ছোঁয়াতে পারছে না বহু সংস্থা। একাংশের ব্যবসা চালানোই কঠিন হয়েছে। মিলনবাবুর দাবি, বাজারে ক্রাফ্ট পেপার অমিল হওয়ার অন্যতম কারণ, চিনে আচমকাই তার রফতানি বৃদ্ধি। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে দেশীয় শিল্প। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘দেশি করোগেটেড বাক্স প্রস্ততকারকদের বাঁচাতে ওই কাঁচামাল রফতানিতে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ জারি করুক কেন্দ্র।’’
সম্প্রতি দেশি ও আমদানিকৃত, দু’ধরনের বর্জ্য কাগজেরও দাম বেড়েছে টন প্রতি ৪৫০০-৫০০০টাকা। যা ক্রাফ্ট পেপারের কাঁচামাল। এই কারণেও দাম বাড়াতে তারা বাধ্য হচ্ছে বলে দাবি কাগজকলগুলির। সূত্রের খবর, আগামী বছর থেকে চিন বর্জ্য কাগজ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা চালুর প্রস্তাব দিয়েছে। তাই সে দেশের বহু কাগজকল তার মজুত বাড়াচ্ছে। তার উপর দেশের কাগজকলগুলির দাবি, ইউরোপে ও আমেরিকা থেকে প্রাথমিক ভাবে যে বর্জ্য কাগজ কেনা হয়, করোনার কারণে তাতে টান পড়ায় দাম বাড়ছে সেগুলিরও। সব মিলিয়ে ক্রাফ্ট পেপার তৈরির খরচই বেড়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, করোনাকালে পণ্য বিক্রি কমায় করোগেটেড বাক্সের বাতিল কাগজও তেমন মিলছে না। যা সমস্যার কারণ।
ভারতে করোগেটেড বাক্স তৈরির শিল্পে সরাসরি কর্মসংস্থান হয় প্রায় ৪ লক্ষ জনের। সংস্থাগুলির দাবি, কাগজকল কাঁচামালের দাম এতটা বাড়ানোয় বহু সংস্থা বন্ধ হলে এই করোনাকালে অনেক মানুষ কাজ হারাবেন। কারণ, বাক্সের দাম বাড়িয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে।