হরদীপ সিংহ পুরী।
অন্তত ১৬টি রাজ্যে লিটার পিছু পেট্রল ১০০ টাকা পার করেছে। ডিজেলের দামে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে এখনও পর্যন্ত তিনটি রাজ্য। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ধর্মেন্দ্র প্রধানের জায়গায় তেল মন্ত্রকের দায়িত্ব নিলেন হরদীপ সিংহ পুরী। এই মন্ত্রকেরই প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন রামেশ্বর তেলি। আর তাঁদের ‘স্বাগত’ জানিয়েই এ দিন দুই পরিবহণ জ্বালানি নতুন সর্বকালীন উচ্চতা ছুঁয়েছে। দিল্লিতে বেড়েছে সিএনজি এবং পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা রান্নার গ্যাসের দাম। পুরী অবশ্য প্রথম দিন তেলের আগুন দাম নিয়ে করা প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। জানিয়েছেন, আগে পরিস্থিতি বুঝে নিতে চান।
গত ২ মে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন-পর্ব শেষ হওয়া পর থেকে সারা দেশে টানা বেড়ে চলেছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। ৩৭ দিনে পেট্রলের দর বেড়েছে ১০.১৬ টাকা। ৩৫ দিনে ডিজেল ৮.৮৯ টাকা বেড়েছে। এ দিনও দুই জ্বালানি বেড়েছে যথাক্রমে ৩৯ পয়সা এবং ১৫ পয়সা। দাম নিয়ে যখন সাধারণ মানুষের দফারফা অবস্থা, তখনও উৎপাদন শুল্ক এবং ভ্যাট নিয়ে তরজায় মেতে রয়েছে শাসক ও বিরোধীপক্ষ।
এই অবস্থায় পুরী বলেন, ‘‘আমাকে কিছুটা সময় দিন। পরিস্থিতি বুঝে নিতে হবে। দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের দামের ব্যাপারে মন্তব্য করা উচিত হবে না।’’ ১৯৭৪-এর ব্যাচের আইএফএস অফিসারের বক্তব্য, ‘‘৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে আমরা যত এগোতে থাকব, জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার আমাদের কাছে ততই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সে ক্ষেত্রে আমার মূল উদ্দেশ্য হবে দেশেই অশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানো।’’ অনেকের অবশ্য বক্তব্য, পুরীর সামনে রাস্তা যথেষ্ট অমসৃণ। কারণ, করোনার পরে অর্থনীতির গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানির চাহিদাও বাড়বে। যার বিপুল অংশ আমদানি করতে হয় ভারতকে। অথচ, দেশের তেল ক্ষেত্রগুলি থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ক্রমশ কমছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে। এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রী জানান, এখন ভারতে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির মধ্যে ৬.২% প্রাকৃতিক গ্যাস। ২০৩০ সালের মধ্যে একে ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র।