ফাইল চিত্র।
আগামী ২৮ এবং ২৯ জুন শ্রীনগরে বসতে চলেছে জিএসটি পরিষদের ৪৭তম বৈঠক। বৃহস্পতিবার টুইটে এ কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে বৈঠকটি শিলংয়ে হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যা সেখানকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তার আগে আজ, শুক্রবার বিভিন্ন পণ্যে জিএসটির হার নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠী। যদিও বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তা মাথায় রাখলে এখনই করের হার বদলের সম্ভাবনা খুব কম বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
এ দিকে কিছু দিন আগেই রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা অমিত মিত্র নির্মলাকে চিঠি পাঠিয়ে জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ তিন-পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। তা নিয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে, এখনও সেই আঁচ পাওয়া না গেলেও প্রশাসনিক সূত্র জানাচ্ছে, আগামী বৈঠকেই হয়ত কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হয়ে যাবে। এক অর্থকর্তার কথায়, ‘‘সম্প্রতি কেন্দ্র মে পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের বকেয়া সব টাকা মিটিয়ে দিয়েছে। ফলে মনে হচ্ছে, তার মেয়াদ আর হয়ত বাড়বে না। তবে পরিষদের বৈঠকেই হয়ত তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
২০১৭ সালে জিএসটি চালু হওয়ার সময় ধরে নেওয়া হয়েছিল, প্রতি বছর রাজ্যগুলির রাজস্ব বাড়বে ১৪% হারে। তা না হলে ঘাটতি মিটিয়ে দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। পাঁচ বছরের মেয়াদে এই সুবিধা শেষ হওয়ার কথা চলতি মাসেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের দাবি, করোনার জেরে অন্তত দু’বছর রাজস্ব যে ভাবে ধাক্কা খেয়েছে, তাতে ক্ষতিপূরণের মেয়াদ না-বাড়লে সমস্যা বাড়তে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, করোনার পরে এখনও আর্থিক কর্মকাণ্ড তেমন চাঙ্গা হয়নি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে রাজ্যের রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় ২৯,৫২৭ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩২,৯৬৩ কোটি। চলতি ২০২২-২৩ সালে ঘাটতি ২৮,২৭৯ কোটি টাকা হবে বলে ধারণা। তবে গত বছরের চেয়ে এ বছর প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা রাজস্ব বৃদ্ধির আশাও করা হয়েছে। উল্টে এখন আবার করোনা বাড়ছে। ফলে রাজস্ব যে ভাবে বাড়লে ক্ষতিপূরণের উপর নির্ভর করতে হবে না, তেমন পরিস্থিতি পুরোপুরি তৈরি হয়নি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।