—প্রতীকী ছবি।
কর ফাঁকির অভিযোগ তুলে অনলাইন গেমিং সংস্থা ড্রিম ১১-কে নোটিস পাঠালেন জিএসটি কর্তৃপক্ষ। বকেয়া টাকা দাবি করে তাতে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ড্রিম ১১ এর বিরুদ্ধে মুম্বই হাই কোর্টে গিয়েছে। এই সংস্থাই এখন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান বিজ্ঞাপনদাতা। ডজনখানেক অনলাইন গেমিং সংস্থাকে জিএসটি ফাঁকির নোটিস দেওয়া হয়েছে।
জুলাইয়ে ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছিল, তিন বছরের জন্য ভারতীয় দলের প্রধান বিজ্ঞাপনদাতা হয়েছে ড্রিম ১১। খেলোয়াড়দের জার্সিতে সংস্থার লোগো দেখা যাবে। সম্প্রতি বারাণসীতে নতুন স্টেডিয়ামের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সচিন তেন্ডুলকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে জার্সি উপহার দেন, তাতেও রয়েছে ওই লোগো। সংস্থাটির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ সামনে আসতেই নতুন করে তা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
ড্রিম ১১-এর কত টাকা চাওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে দানা বেঁধেছে জল্পনা। একাংশের মতে, এটাই সর্বোচ্চ কর ফাঁকির অভিযোগ হতে পারে। যা ছাড়াতে পারে গেমসক্র্যাফটের বিরুদ্ধে ২১,০০০ কোটি বকেয়ার দাবিকেও। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, ২০১৭-১৮ সালের জন্য ২১৬.৯৪ কোটি এবং ২০১৮-১৯ সালের জন্য ১০০৫.৭৭ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, বাজি ধরে খেলা বা রিয়েল মানি গেমিং সংস্থাগুলির কাছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব জিএসটি ইনটেলিজেন্স মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা দাবি করেছে। আদালতে ড্রিম ১১ বলেছে, আগের এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টই বলেছিল তারা যে অনলাইন খেলার সঙ্গে যুক্ত, সেটা জুয়া নয়। এটি বিশেষ ধরনের দক্ষতা প্রয়োগের খেলা।