—প্রতীকী চিত্র।
আগামী অগস্টের মধ্যেই দেশে কাজ শুরু করবে জিএসটির আপিল আদালত। বৃহস্পতিবার সূত্রের দাবি, অভিন্ন পরোক্ষ কর সংক্রান্ত বিরোধের অসংখ্য মামলা ঝুলে রয়েছে। আটকে রয়েছে টাকা। সেগুলির দ্রুত সমাধান করতেই বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরনের আদালত তৈরির পরিকল্পনা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ দিন বেঙ্গল চেম্বার আয়োজিত জিএসটি বিষয়ক একটি সভায় বণিকসভাটির জাতীয় আর্থিক এবং কর বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বিবেক জালান বলেন, ‘‘আপিল আদালত চালু হলে জিএসটি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ব্যবসায়ীদের আর আদালতে ছুটতে হবে না। দ্রুত মীমাংসা হওয়ায় কমবে ঝক্কি।’’
সূত্রের খবর, সারা দেশে আপিল আদালতের মোট ৫০টি বেঞ্চ গঠিত হবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে থাকবে দু’টি। রাজ্যের বেঞ্চের আওতায় থাকবে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং সিকিমও। বিবেক জানান, প্রতিটি বেঞ্চে চার জন করে সদস্য থাকবেন। কেন্দ্রের এবং রাজ্যের এক জন করে সদস্য ছাড়াও বিচার বিভাগের মোট দু’জন। বেঞ্চের সদস্য পদের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বর্তমানে জিএসটিতে বকেয়া কর অথবা অন্য কোনও ব্যাপারে বিরোধ দেখা দিলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট কর দফতরেরই ঊর্ধ্বতন অফিসারের কাছে আবেদন করতে হয় ব্যবসায়ীকে। সেখানে সুরাহা না হলে হাই কোর্টে যেতে হয়। সব মিলিয়ে বিরোধ মিটতে অনেক সময় লাগে। আপিল আদালত তা অনেকটা কমিয়ে আনবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে বকেয়া সংক্রান্ত বিরোধ হলে সেই দাবির ৩০% মিটিয়ে তবে আপিল আদালতে যাওয়া যাবে।