Economic Growth

পাঁচ মাসে সর্বনিম্ন পরিকাঠামো বৃদ্ধি

বাণিজ্য মন্ত্রকের আজকের পরিসংখ্যান বলছে, গত মাসে শেষ হওয়া গোটা অর্থবর্ষ (২০২২-২৩) জুড়েই দেশের মূল আটটি পরিকাঠামোয় উৎপাদন বেড়েছে শ্লথ গতিতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৫:৪৭
Share:

দেশের আটটি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৃদ্ধির গতি ফের কমল। প্রতীকী ছবি।

দেশের আটটি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বৃদ্ধির গতি ফের কমল। শুক্রবার কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, মার্চে পরিকাঠামো বৃদ্ধির হার তার আগের বছরের একই মাসের তুলনায় দাঁড়িয়েছে ৩.৬%। যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সব থেকে কম। আগের বছর মার্চে তা ছিল ৪.৮%। আর গত ফেব্রুয়ারির বৃদ্ধি ৭.২%। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে পরিকাঠামোয় বৃদ্ধি নেমেছিল ০.৭ শতাংশে।

Advertisement

তবে শুধু মার্চে নয়, বাণিজ্য মন্ত্রকের আজকের পরিসংখ্যান বলছে, গত মাসে শেষ হওয়া গোটা অর্থবর্ষ (২০২২-২৩) জুড়েই দেশের মূল আটটি পরিকাঠামোয় উৎপাদন বেড়েছে শ্লথ গতিতে। ২০২১-২২ সালে যেখানে বৃদ্ধির হার ছিল ১০.৪%, সেখানে গত আর্থিক বছরে তা নেমেছে ৭.৬ শতাংশে।

অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগারে উৎপাদিত পণ্য, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, সার, ইস্পাত, কয়লা— এই আটটি ক্ষেত্রকে দেশের প্রধান পরিকাঠামো হিসাবে গণ্য করা হয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এর মধ্যে অশোধিত তেল, বিদ্যুৎ এবং সিমেন্টের উৎপাদন গত মাসে সরাসরি কমে গিয়েছে যথাক্রমে ২.৮%, ১.৮% এবং ০.৮%। যা টেনে নামিয়েছে পরিকাঠামো শিল্পের সামগ্রিক বৃদ্ধিকে। তবে কয়লার উৎপাদন বেড়েছে ১২.২%, সারের ৯.৭%, ইস্পাতের ৮.৮%, প্রাকৃতিক গ্যাসের ২.৮% এবং শোধনগারের পণ্য ৯.৭%।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অতিমারি পরবর্তী সময়ে দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড যখন পুরোপুরি খুলে গিয়েছে এবং অর্থনীতি ছন্দে ফিরেছে বলে দাবি করছে মোদী সরকার, তখন প্রধান পরিকাঠামো শিল্পগুলির উৎপাদনের গতি কমে যাওয়া উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, সিমেন্ট ক্ষেত্রে চিন্তা থাকছে। তার উপরে আমদানি খরচ কমানোর জন্য কেন্দ্র দেশের মাটিতে অশোধিত তেলের উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দিলেও, বাস্তবে তা ১০ মাস যাবৎ লাগাতার নামছে। গোটা অর্থবর্ষের হিসাবে উৎপাদন ১.৭% সঙ্কুচিত। মার্চে প্রাকৃতিক গ্যাসের ২.৮% উৎপাদন বৃদ্ধিও ছিল তিন মাসে সর্বনিম্ন।

উল্লেখ্য, দেশের শিল্পোৎপাদন সূচকে আটটি মূল পরিকাঠামো ক্ষেত্রের দখল ৪০.২৭%। ফলে এই ক্ষেত্রটি শ্লথ হলে, তার প্রভাব শিল্প বৃদ্ধিতে পড়ার আশঙ্কা থাকে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement