বাজেটের আগেই ব্যবস্থা, দাবি নির্মলার

জিএসটি ক্ষতিপূরণে দেরি নিয়েও সম্প্রতি বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। অগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও, এখনও অক্টোবর ও নভেম্বরের ক্ষতিপূরণ মেলেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:১৫
Share:

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।—ছবি পিটিআই।

বৃদ্ধি শ্লথ। বাজারে চাহিদার অবস্থা ভাল নয়। বেসরকারি লগ্নি, পরিকাঠামো উৎপাদন-সহ অর্থনীতির বিভিন্ন মাপকাঠি রয়েছে অস্বস্তিকর জায়গায়। এই নিয়ে মোদী সরকারকে লাগাতার বিঁধে চলেছে বিরোধী দলগুলি। মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে শিল্প মহলেরও। এই পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে গত কয়েক মাসে লাগাতার পদক্ষেপ করে গিয়েছে কেন্দ্র। কমিয়েছে কর্পোরেট কর, চেষ্টা করেছে ব্যবসার জন্য সহজে ঋণ পৌঁছে দিতে। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সেই পদক্ষেপগুলির কথাই আরও এক বার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। জানালেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব মেটানোর চেষ্টা করেছে সরকার। বাজেটের জন্য অপেক্ষা করেনি।

Advertisement

আজ নির্মলা বলেছেন, ‘‘যে সমস্ত ক্ষেত্র সমস্যায় রয়েছে তাদের সুরাহার জন্য কেন্দ্র নিয়মিত পদক্ষেপ করে চলেছে। বাজেটের অপেক্ষায় বসে থাকেনি। আমরা পদক্ষেপ করছি।’’

জিএসটি ক্ষতিপূরণে দেরি নিয়েও সম্প্রতি বিরোধীদের চাপের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। অগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও, এখনও অক্টোবর ও নভেম্বরের ক্ষতিপূরণ মেলেনি। এই প্রেক্ষিতে এ দিন জিএসটি আদায় নিয়েও আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন অর্থমন্ত্রী। বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তিনি জানান, গত দু’মাসে জিএসটি আদায় ১ লক্ষ কোটি টাকার অঙ্ক ছাড়িয়েছে। নির্মলার কথায়, ‘‘মাসে জিএসটি সংগ্রহ ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও সংগ্রহ ভালই হবে।’’ তাঁর দাবি, কেন্দ্র কখনওই বিজেপি শাসিত বা বিরোধী শাসিত রাজ্যের মধ্যে পার্থক্য করে না। রাজ্যগুলির বকেয়াও কেন্দ্র আটকে রাখেনি। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মতোই টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি উৎসবের মরসুমে ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসিগুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ঋণের টাকা পেতেও কোনও সমস্যা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement