প্রতীকী ছবি।
জিএসটি ও দেউলিয়া আইন যে তাড়াহুড়ো করে চালু হয়েছে, তা মানলেন নীতি আয়োগের ফেলো রামগোপাল আগরওয়াল। তাঁর মতে, এই দু’টিই ভাল নীতি। তবে উপযুক্ত প্রস্তুতি ছাড়া তা চালু করা হয়েছিল। দেউলিয়া আইনে মামলার সময়ে ঋণ না-মেটানোকেই একমাত্র ভিত্তি ধরা ঠিক নয় বলেও শনিবার কলকাতায় ভারত চেম্বারের সভায় মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, কী কারণে ঋণ মেটানো যায়নি, সেটাও খতিয়ে দেখা জরুরি।
এ দিন বণিকসভার সভাপতি সীতারাম শর্মা জানান, জিএসটি ও নোটবন্দিতে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। নগদের জোগানই বড় চ্যালেঞ্জ। আগরওয়াল বলেন, ‘‘লগ্নির টাকার ব্যবস্থা কেন্দ্রকেই করতে হবে। কিন্তু তা যে ঠিক ভাবে খরচ হবে, শিল্পপতিদের থেকে সেই অঙ্গীকার জরুরি। ব্যবসার টাকা যাতে অন্যত্র সরানো না-হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বণিকসভাগুলির নিজস্ব আচরণ বিধি তৈরি করা উচিত।’’
রামগোপালের মতে, দেশে লগ্নিতে উৎসাহ দিতে ঋণে সুদ কমানো উচিত। ভারতে লগ্নির প্রায় ৬০% টাকা জোগান দেয় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তা ১০০ শতাংশে নিয়ে যেতে আয়োগ পরিকল্পনার কথা ভাবছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, চারটি বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে— আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে লেনদেনে স্বচ্ছতা, দূষণ রোধ, আর্থিক ভাবে মহিলাদের এগোনোর সুযোগ তৈরি, মানুষের সার্বিক সমৃদ্ধি।