—ফাইল চিত্র
একের পর এক রেকর্ড ভেঙে ছুটে চলা তেলের দরে যখন নাভিশ্বাস উঠছে মানুষের, ঠিক তখনই পেট্রোপণ্যে চড়া করের হাত ধরে রাজকোষে ঢুকছে বিপুল অর্থ। খোদ কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টসের (সিজিএ) হিসেব বলছে, গত এপ্রিল থেকে নভেম্বরে উৎপাদন শুল্ক খাতে ২০১৯ সালের ওই সময়ের চেয়ে আদায় বেড়েছে ৪৮%। পৌঁছেছে ১,৯৬,৩৪২ কোটি টাকায়। ফলে ফের প্রশ্ন উঠছে, ‘অচ্ছে দিনের’ স্বপ্ন দেখানো মোদী সরকার কেন শুল্ক ছেঁটে সুরাহা দিচ্ছে না আমজনতাকে? যা নিয়ে তোপ দাগছে বিরোধীরা। তবে অনেকের মতে, প্রত্যক্ষ কর আদায়ের এত খারাপ অবস্থা যে, উৎপাদন শুল্ক কেন্দ্রকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে।
দেশে ক’দিন এক থাকার পরে আজ সোমবার ফের পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়েছে। কলকাতাতেও আইওসি-র পাম্পে পেট্রল লিটারে বেড়ে হয়েছে ৮৬.৩৯ টাকা। ডিজেল বেড়ে ৭৮.৭২ টাকা। দু’টিই নতুন রেকর্ড। এমনিতে হিসেব বলে, পেট্রোপণ্যের দামের প্রায় এক তৃতীয়াংশই হল উৎপাদন শুল্ক। আর যুক্তমূল্য কর ধরলে মোট দামের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ যায় কেন্দ্র ও রাজ্যের ঘরে। ফলে উৎপাদন শুল্ক কমানো হলে আদতে দাম অনেকটাই কমবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। কিন্তু বার বার সেই দাবি উঠলেও, তাতে কান দেয়নি মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে তেলে অনেকটাই শুল্ক বাড়িয়েছে কেন্দ্র। আর করোনা আবহে গত মার্চ ও মে মাসে কর বাড়িয়ে বাড়তি আয়ের পথ চওড়া করেছিল তারা। সিজিএ জানাচ্ছে, সেই রেকর্ড বর্ধিত শুল্কেরই সুফল পেয়েছে কেন্দ্র। যা কি না পুষিয়ে দিয়েছে গত ক’মাসে তেল বিক্রি কমার ক্ষতিও।
আরও পড়ুন: বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ, উৎসাহ দিতে বিধি বদল
আরও পড়ুন: সঙ্কটে ঢালাই শিল্প, চিন্তায় রাজ্যের ৭০ হাজার কর্মী
অনেকেরই তোপ, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর শূন্যের নীচে নামার সময়েও দেশে শুল্ক বেড়েছে। আর এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দর বাড়তেই দেশে তেলের দর বাড়ানো হচ্ছে। এতে পরিবহণ খরচ ও জিনিসের দাম বাড়লে ভুগবেন সাধারণ মানুষই।