পুজোর মুখে সুখবর। ফাইল চিত্র
টানা সস্তা হতে থাকা সোনা অক্টোবরের শুরু থেকে ফের দামি হতে থাকে। কিন্তু মহালায়ার দিনে গয়না প্রেমীদের পাশাপাশি সোনায় বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বাজার। বৃহস্পতিবার শুরু হতে চলেছে দেবীপক্ষ। তার ঠিক আগের দিনে দাম কমায় অনেকেই মনে করছেন পুজোর মরসুমে সোনার দাম আয়ত্তের মধ্যেই থাকবে।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিন প্রতি ১০ গ্রাম ২২ ক্যারাট সোনার দাম ছিল ৪৫ হাজার ৫৫০ টাকা। এর পরে প্রতিদিনই একটু একটু করে বেড়ে মঙ্গলবার কলকাতায় ২২ ক্যারাট সোনার ১০ গ্রামের দাম হয় ৪৬,১৫০ টাকা। বুধবার ১৫০ টাকা কমে হয়েছে ৪৬ হাজার টাকা। একই সঙ্গে ২৪ ক্যারাট সোনার ১০ গ্রামের দামও ১৫০ টাকা কমে হয়েছে ৪৮,৭০০ টাকা। ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল ৪৮,২৫০ টাকা।
২০২০ সালের এক দিন প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট সোনার দাম উঠেছিল ৫৭ হাজার টাকার উপরে। সেটাই দেশে সর্বোচ্চ সোনার দর। এর পরে সম্প্রতি সেই সর্বোচ্চ দামের চেয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা কমে দর। তবে তখনই বিশেষজ্ঞরা মনে করছিলেন টানা কমতে থাকার ধারা বেশি দিন চলবে না। সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে অক্টোবরের শুরু থেকেই দাম বাড়তে থাকে। তবে বুধবার আবার কমল।
শুধু সোনা নয়, অক্টোবর থেকে রুপোর দামও বৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে। বুধবার রুপোর দাম অল্প হলেও বেড়েছে। কলকাতায় এক কেজি রুপোর দর হয়েছে ৬০ হাজার ৭০০ টাকা। সেপ্টেম্বরের শেষ ছিল ৫৮,৩০০ টাকা।
করোনাকালে সোনার দাম টানা বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেই সময়ে শেয়ার বাজার চাঙ্গা না থাকায় সোনায় বেশি ভরসা রাখেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বিনিয়োগের তুলনায় আমদানি কম ছিল। করোনাকালের সেই সোনার দাম বাড়লেও গয়নার ব্যবসায় যুক্তরা তেমন লাভ পাননি। কারণ, সেই সময় গয়না নয়, লগ্নিপণ্য হিসেবে সোনার চাহিদা বৃদ্ধিতে বেড়ে গিয়েছিল দাম। এখন দাম কমার পিছনে বড় কারণ, উৎসবের মরসুমে খুচরো বিক্রেতাদের কাছে সোনার চাহিদা বাড়ছে। লগ্নির পাশাপাসি সোনার চাহিদা বেড়েছে। খুচরো বিক্রেতারা উৎসবের মরসুমের আগে মজুত ভান্ডার ভরার কথা ভাবছেন। এর ফলে সোনার চাহিদা ও আমদানি দুইই বাড়ছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ধনতেরস পর্যন্ত সোনার দাম এই রকম থাকতে পারে।