—প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর দেশ জুড়ে পালিত হবে ‘ধনতেরস’। এই উৎসবে সোনা কেনার রেওয়াজ রয়েছে। সম্প্রতি হলুদ ধাতুর দর অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় ধনতেরাস আসার আগেই তা কিনতে অলঙ্কারের দোকানগুলিতে বাড়ছে ভিড়। এই আবহে নকল সোনা নিয়ে ক্রেতাদের আগাম সতর্ক করেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কী ভাবে সঠিক মূল্যে খাঁটি হলুদ ধাতুর গয়না পাওয়া যাবে, তার ‘টিপস’-ও দিয়েছেন তাঁরা।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কথায়, সোনা কেনার সময়ে প্রথমেই বিআইএস-সার্টিফিকেট দেখে নিতে হবে। চলতি কথায় একেই বলা হয় হলমার্ক। যা হলুদ ধাতুর বিশুদ্ধতার গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। ক্রেতাকে তাই হলমার্কের স্ট্যাম্প, জুয়েলার্সের চিহ্ন, পরীক্ষাকেন্দ্রের চিহ্ন এবং শংসাপত্রের বছর দেখে নিতে হবে।
২৪ ক্যারেটের সোনাকে সবচেয়ে বিশুদ্ধ বলে ধরা হয়। তবে এতে গয়না তৈরি করা যায় না। সাধারণত, ২২ এবং ১৮ ক্যারেটের হলুদ ধাতু দিয়ে অলঙ্কার প্রস্তুত করা হয়। হলমার্কে যার উল্লেখ থাকে। বিশেষজ্ঞরা আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী এই দুই ক্যাটেগরির সোনা কেনার পরামর্শ দিয়েছেন।
মেকিং চার্জের তারতম্যের জেরে স্বর্ণালঙ্কারের দামের পার্থক্য দেখা যায়। আর তাই গয়নার দোকানে যাওয়ার আগে পছন্দের অলঙ্কারের দাম অনলাইনে দেখে নেওয়া ভাল। এতে কোন দোকানে কী ধরনের গয়না কত দামে বিক্রি হচ্ছে, তা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবেন ক্রেতারা। ফলে সস্তা দরে গয়না কেনা তাঁদের পক্ষে সুবিধা হবে।
অনেক অলঙ্কারের দোকানে বাই ব্যাক পলিসি রয়েছে। অর্থাৎ, গ্রাহক সেখানে পুরনো গয়না বিক্রি করে নতুন কিনতে পারেন। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে পরিষ্কার ভাবে শর্তাবলি বুঝে নিতে হবে। নইলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া ধনতেরাসের সময় বেশ কিছু গয়নার দোকান আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে থাকে। সেখান থেকেও সস্তায় সোনা কেনা যেতে পারে।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, হলুদ ধাতু কেনার পর তার ওজন, বিশুদ্ধতা ও দাম সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণের চালান বা বিল নিয়ে নেওয়া। সেটি গ্রাহককে যত্ন করে রেখে দিতে হবে। ভবিষ্যতে ওই সোনা বিক্রি করে বা বন্ধক রেখে টাকা নিতে গেলে বিলটির প্রয়োজন হবে। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ করতে গেলেও ওই বিলের প্রয়োজন হবে।