শর্তসাপেক্ষে দৈনিক ১১৪টি উড়ান চালানোর জন্য গো ফার্স্টের পরিকল্পনায় সায় দিল নিয়ন্ত্রক। —ফাইল চিত্র।
কম খরচের উড়ান পরিষেবা সংস্থা হিসেবে পরিচিত গো ফার্স্ট গত ২ মে আচমকাই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল। ৩ মে থেকে বন্ধ হয় তাদের উড়ান। এখন দেউলিয়া আইনের আওতায় পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে সংস্থাকে বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে নতুন করে পরিষেবা চালুর জন্য আগ্রহের কথা জানিয়ে বিমান নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ-র কাছে আবেদন করে তারা। শর্তসাপেক্ষে দৈনিক ১১৪টি উড়ান চালানোর জন্য গো ফার্স্টের পরিকল্পনায় সায় দিল নিয়ন্ত্রক।
দিল্লি হাই কোর্ট এবং জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) কাছে সংস্থার আবেদন খতিয়ে দেখার পরে ১৫টি বিমান নিয়ে দৈনিক ১১৪টি উড়ান চালুর জন্য সংস্থার প্রস্তাবে সায় দেওয়ার কথা শুক্রবার জানিয়েছে ডিজিসিএ। সেই সঙ্গে বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন আর্থিক তহবিলের জোগান পেলে এবং উড়ান সূচির বিষয়ে তাদের সম্মতি মিললে, গো ফার্স্ট পরিষেবা শুরু করতে পারে। পরিষেবা দেওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রকের যে সব নিয়মকানুন রয়েছে, তার প্রতিটি শর্ত সংস্থাকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। প্রতিটি বিমান যাতে যাত্রী নিয়ে যে কোনও সময়ে উড়ান দিতে পারে, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।
প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনির থেকে এঞ্জিন না পাওয়া এবং আর্থিক দায়বদ্ধতা পূরণের জন্য হাতে একটুও নগদ না থাকায় আর্থিক অসুবিধার মুখে পড়ার দাবি করে পরিষেবা বন্ধের কথা জানিয়েছিল গো ফার্স্ট। দেউলিয়া আদালতে সংস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রক্রিয়া চলছে এখন। তার অঙ্গ হিসেবে গো ফার্স্টকে কিনতে ইচ্ছুক ক্রেতার কাছ থেকে আগ্রহপত্র চেয়েছেন এনসিএলটি নিযুক্ত রেজ়লিউশন প্রফেশনাল শৈলেন্দ্র অজমেঢ়া। হাতবদলের নিলাম প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে সংস্থাটির কর্ণধার ওয়াদিয়া গোষ্ঠীও। সে ব্যাপারে তারা কিছু খোলসা না করলেও, যত দ্রুত সম্ভব আকাশে ফেরার আগ্রহের কথা স্পষ্ট জানিয়েছে তারা।