Dividend

ডিভিডেন্ডের ধারাবাহিকতা ঘিরে সংশয়

সরকার এই ডিভিডেন্ড কোন খাতে ব্যয় করবে— ঘাটতি কমাতে নাকি খরচ বৃদ্ধিতে? এই প্রশ্নেই আগ্রহ বাড়ছে সংশ্লিষ্ট মহলের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২৪ ০৭:৫৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) জন্য কেন্দ্রকে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ড) দিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। যা দেশের জিডিপির প্রায় ০.৬%। কেন্দ্রের প্রত্যাশার প্রায় দ্বিগুণ। গত ফেব্রুয়ারিতে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ওই খাতে ১.০২ লক্ষ কোটি টাকা পাওয়া যাবে ধরে হিসাব কষেছিলেন। আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ মনে করে, বিপুল এই ডিভিডেন্ড ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যাওয়া শীর্ষ ব্যাঙ্কের পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে এই অর্থ রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার (৫.১%) কাছাকাছি নামিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এমনকি, বাজেট ঘোষণার থেকে তা আরও কমিয়ে আনা সম্ভব।

Advertisement

সরকার এই ডিভিডেন্ড কোন খাতে ব্যয় করবে— ঘাটতি কমাতে নাকি খরচ বৃদ্ধিতে? এই প্রশ্নেই আগ্রহ বাড়ছে সংশ্লিষ্ট মহলের। আবার এই অর্থ পুরোপুরি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের মুনাফা থেকে এসেছে, নাকি আপৎকালীন তহবিলেও হাত পড়েছে, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও। শীর্ষ ব্যাঙ্কের অবশ্য দাবি, এই টাকা তাদের মুনাফারই অংশ।

ফিচের বক্তব্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুনাফার অন্যতম উৎস বিদেশি মুদ্রার বিনিয়োগ থেকে আয়। তা ছাড়াও রয়েছে কোষাগারের অর্থ লগ্নি। পাশাপাশি, মুদ্রার বিনিময় হারের উপরেও তা অনেকটা নির্ভর করে। আবার আয়ের একটি অংশ আপৎকালীন তহবিলে রাখে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। উদ্দেশ্য, আর্থিক ক্ষেত্রের সমস্যা মোকাবিলা। ফিচের বক্তব্য, তারাও মনে করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারকে শুধু লাভের অংশই দিয়েছে। কিন্তু বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে মাপকাঠির পরিবর্তন হলে তা মাঝারি মেয়াদে অনিশ্চয়তার বার্তা দিতে পারে। তবে এই পরিমাণ ডিভিডেন্ড পাওয়ার ফলে কেন্দ্রের রাজকোষ ঘটতি কমানো সহজ হবে। ২০২৫-২৬ সালেও ৪.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement