—প্রতীকী চিত্র।
কেন্দ্রের দাবি, দেশে বেকারত্ব নেমেছে ৩ শতাংশের কাছাকাছি। কাজের বাজারের অবস্থা অতিমারির আগের থেকে ভাল। বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থাগুলির দাবি অবশ্য অন্য রকম। বিশেষজ্ঞ মহলের আবার বক্তব্য, নতুন কাজ তৈরির পাশাপাশি বড় সমস্যা আর্থিক বৈষম্য। এ বার এক সমীক্ষায় স্পষ্ট হল, কাজের বাজারে মোটা দাগের বৈষম্য রয়েছে লিঙ্গের ক্ষেত্রেও। গ্রামে যুব সম্প্রদায়ের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ-মহিলাদের মধ্যে ফারাক বিপুল।
সোমবার উপদেষ্টা সংস্থা ডেভেলপমেন্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, ট্রান্সফর্ম রুরাল ইন্ডিয়া এবং গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইন্ডিকেটরের যৌথ সমীক্ষা রিপোর্ট (স্টেট রুরাল এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্ট ২০২৪) প্রকাশিত হয়েছে। ২১টি রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ১৮-৩৫ বছর বয়সি ৫১৬৯ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে রিপোর্টটি। যা বলছে, ১৮-২৫ বছরের পুরুষদের প্রায় অর্ধেক কাজের সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু মহিলাদের পেয়েছেন এক-চতুর্থাংশ। যুব সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় অংশের (২৬-৩৫ বছর) ছবিটা আরও ভয়ানক। পুরুষদের ৮৫% কাজের সুযোগ পেয়েছেন। যাঁরা কাজের বাজারে নেই তাঁদের বড় অংশ (১০%) অতীতে কাজ করেছেন। ওই বয়সের মহিলাদের ৪০% রয়েছেন কাজের মধ্যে। প্রায় ২৫% কাজের বাজার থেকে সরে গিয়েছেন। এক-তৃতীয়াংশ কখনও পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
রিপোর্টে আরও জানাচ্ছে, ৬০% পুরুষ, ৭০% মহিলা গ্রামের কাছাকাছি কাজ করতে চান। দূরে যেতে চান না। আয়ের সম্ভাবনা যেমনই হোক না কেন। যদিও কৃষি ও স্বনির্ভর ক্ষেত্রে আগ্রহ কমছে তাঁদের। এক সময়ে এই দু’টিই ছিল গ্রামে আয়ের মূল উৎস। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, রিপোর্টে স্পষ্ট যে পরিযায়ী শ্রমে যুব সম্প্রদায়ের আগ্রহ কমছে। আগ্রহ কমছে ক্ষেত্র নির্ভর কৌশল শিক্ষায়। বরং তথ্যপ্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় বাড়ছে আগ্রহ। সেই চাহিদা পূরণ করতে গেলে গ্রামে বিপুল কাজ তৈরি করতে হবে। বাজেটে নতুন কাজ তৈরির জন্য কেন্দ্র কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বটে, তবে গ্রামের দিকে তার কতটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে তা সময়ই বলবে।