—ফাইল চিত্র।
করোনার ধাক্কা পিছনে ফেলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে এ বার দাবি করল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও। সঙ্গে জানাল, দেশের জিডিপি অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ০.১% এবং জানুয়ারি-মার্চে ০.৭% বাড়তে পারে। যার হাত ধরে শুক্রবার ঋণনীতিতে পুরো অর্থবর্ষের জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস আগের ৯.৫% থেকে কমিয়ে ৭.৫% করেছে তারা। যে কারণে এ দিন চড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে সুদ না-কমানো হলেও ফের দৌড় দেখেছে শেয়ার বাজার। ৪৪৭ পয়েন্ট বেড়ে এই প্রথম সেনসেক্স ছাড়িয়েছে ৪৫,০০০-এর মাইলফলক। থেমেছে ৪৫,০৭৯.৫৫ অঙ্কে। বেড়েছে নিফ্টিও।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও এ দিন বলেছেন, শুধু যে আটকে থাকা চাহিদা ফিরছে তা নয়। নতুন চাহিদাও তৈরি হচ্ছে। তা-ই দীর্ঘ মেয়াদে জিডিপিকে টেনে তুলবে। যে মূল্যবৃদ্ধির কথা ভেবে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ ছাঁটেনি, তা মরসুমি। আগামী দিনে জিনিস, বিশেষত খাদ্যপণ্যের দাম কমবে। যদিও ঋণনীতিতে আরবিআই জানিয়েছে, ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধি ২%-৬% লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি (৬.৮%) থাকার সম্ভাবনা।
তবে অনেকের মতে, এখনই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলা যাবে না। সব পরিসংখ্যান তার দিকে ইঙ্গিত করছে না। সেটা অবশ্য মেনেছেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও। বলেছেন, অর্থনীতি এখনও ঋণনীতির সাহায্যের উপরে অনেকটা নির্ভরশীল।
এ দিন দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের নীতিকে দায়ী করেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। ইনফোকমে তিনি বলেন, ‘‘জিএসটি, নোট বাতিলে আগেই আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। করোনা তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে। শ্রমিকের কাজ নেই। বেকারত্ব বাড়ছে।’’