—প্রতীকী চিত্র।
গত মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা লাফিয়ে বেড়েছে। শিল্প সূত্রের দাবি, এর ফলে মাথা তুলেছে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এই ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে গ্যাসের জোগান দেওয়ার জন্য বেড়েছে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি। এই প্রথম গোটা দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে এই শ্রেণির বিদ্যুতের অনুপাত বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, ৪৩ দিন ধরে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। সেই সময়েও যেমন বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে, ঠিক তেমনই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বাধ্যবাধকতাও ছিল সরকারের কাছে। তার প্রভাবও পড়েছে গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে।
গ্রিড ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এপ্রিল এবং মে মাসে গ্যাস থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন দাঁড়িয়েছিল ৮৯০ কিলোওয়াট প্রতি ঘণ্টা। যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৭৫ শতাংশের উৎস কয়লা। এলএনজি সেখানে ২ শতাংশও ছুঁতে পারেনি। গ্যাসের খরচই মূল কারণ। কিন্তু গত মাসে হিসাবে কিছুটা বদল এসেছে। এই প্রথম তাপ বিদ্যুতের অনুপাত নেমে এসেছে ৭৪ শতাংশে। আর এলএনজি থেকে তৈরি বিদ্যুতের ভাগ বেড়ে হয়েছে ৩.১%।
শিল্প মহলের বক্তব্য, দেশে এলএনজির উৎপাদন এখনও কম। যতটুকু উৎপাদন হয় তার পুরোটাই চলে যায় শহরের গ্যাস সরবরাহ এবং সার সংস্থাগুলির চাহিদা পূরণে। ফলে বিদ্যুতের জন্য এলএনজির আমদানি বাড়াতে হবে। তাতে অবশ্য খরচও বাড়বে।