অমিত মিত্র।
লক্ষ্য মূলত দু’টি। প্রথমত, দ্রুত কাজ সেরে রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে রাজস্ব আনা। দ্বিতীয়ত, যথাসম্ভব দুর্নীতি রুখে স্বচ্ছ পন্থায় পরিষেবা নিশ্চিত করা। এই জোড়া লক্ষ্যে শহরাঞ্চলে পুরোপুরি অনলাইনে বাড়ির নকশা অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান এবং মিউটেশন বা নামজারির কাজ শুরু করে দিল নবান্ন। সোমবার এই নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
অমিতবাবু জানান, প্রাথমিক ভাবে পাঁচটি কর্পোরেশন বা পুর নিগম-সহ ৬০টি পুর এলাকায় অনলাইনে বাড়ির নকশা ও ট্রেড লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া হবে। ১২৩টি পুরসভাতেই অনলাইন মিউটেশন চালু হবে তিন মাসের মধ্যে। ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনের নিষ্পত্তি করতে হবে। আবেদন ১৫ দিনের বেশি পড়ে থাকলে পুরসভাকে কৈফিয়ত দিতে হবে বলে জানান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনের একাংশের মতে, এতে জন-পরিষেবায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে, তাড়াতাড়ি আবেদনের নিষ্পত্তির সূত্রে ফি বাবদ রাজস্ব আদায় হবে দ্রুত। অভিযোগ, মিউটেশন এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কারচুপি বা দুর্নীতির দরুন রাজস্ব কম আসত। অনলাইনে সেই রন্ধ্রও বন্ধ করা যাবে।
অমিতবাবু জানান, কোন আবেদনে কত টাকা লাগবে, কম্পিউটারই হিসেব করে তা জানাবে আবেদনকারীকে। বাড়ির নকশার ক্ষেত্রে পুর প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে গিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে রিপোর্ট আপলোড করবেন। “সম্পূর্ণ অনলাইনে কাজ হওয়ায় পুরো বিষয়টি স্বচ্ছ হবে,’’ দাবি তাঁর।
চন্দ্রিমাদেবীর দাবি, প্রশ্ন থাকলে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যাবে। খোলা হচ্ছে একটি ই-মেল আইডি। সব পুরসভাকে লিফলেট ও হোর্ডিং দিয়ে প্রচার চালাতে বলা হচ্ছে।