ফাইল চিত্র।
গত বছরের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তৈরি আবাসন ক্ষেত্রের বিকল্প নিয়ন্ত্রণ আইন ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি অ্যাক্টকে (হিরা) অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তার পরথেকে কেন্দ্রীয় আইন (রেরা) অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তৈরি করতে পারেনি রাজ্য। আবাসন ক্রেতাদের সংগঠন এফপিসিই-র অভিযোগ, ফলে ক্রেতাদের অভিযোগ থাকলে মীমাংসার জায়গা নেই। এর সুযোগ নিয়ে আইন বহির্ভুত কাজ করে চলেছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের একাংশ। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এক মাসের মধ্যে রেরা চালু করতে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা।
গত ১৬ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন এফপিসিই-র চেয়ারম্যান তথা রেরার কেন্দ্রীয় পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য অভয় উপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এই রাজ্যে এখনও আবাসন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্য নিয়োগ হয়নি। তৈরি হয়নি আপিল ট্রাইবুনাল, ওয়েবপেজ ও অন্যান্য পরিকাঠামো। তিনি বলেন, ‘‘এই সুযোগে সংস্থাগুলি রেরার বিধি অমান্য করেছে।’’ তাঁর অভিযোগ, ক্রেতাদের সঙ্গে চুক্তি ছাড়াই বাড়ির দামের ১০ শতাংশের বেশি টাকা নিচ্ছে সংস্থাগুলি। এক প্রকল্পের পুঁজি সরানো হচ্ছে অন্য প্রকল্পে। বিক্রির পরে দুই-তৃতীয়াংশ ক্রেতার সায় না-নিয়েই বহু ক্ষেত্রে বদলানো হচ্ছে প্রকল্পের প্ল্যান। রেরায় এই সব কিছুইবেআইনি। যাঁরা হিরায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা অন্ধকারে। নিয়ন্ত্রক না-থাকায় চাহিদা সত্ত্বেও ভিন্ রাজ্য ও অনাবাসী ভারতীয় ক্রেতা পশ্চিমবঙ্গ সে ভাবে পাচ্ছে না বলেও দাবি তাঁর।