প্রতীকী ছবি
দেশীয় লগ্নি আসছে না। অর্থনীতির হাল খারাপ নয় বোঝাতে কত বিদেশি লগ্নি এসেছে, তার পরিসংখ্যান দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। এ বার সেই লগ্নির পথ আরও প্রশস্ত করতে বিমায় বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ৪৯% থেকে বাড়িয়ে ৭৪% করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। ফেব্রুয়ারির বাজেটে এই ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০১৫ সালে মোদী সরকারই এই সীমা ২৬% থেকে বাড়িয়ে ৪৯% করেছিল।
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, বিমায় বিদেশি লগ্নির ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো নিয়ে নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ-র মত চেয়েছিল কেন্দ্র। তাদের সুপারিশ, ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকার বিমা ব্যবসায় ৭৪% সরাসরি বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দেওয়া হোক। কারণ, পুঁজির অভাব ও অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের সমস্যায় ভুগছে এই শিল্প। সংস্থাগুলির বর্তমান মালিকপক্ষও নতুন পুঁজি ঢালায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না। সরকারি বিমা সংস্থার কর্মী সংগঠনগুলি অবশ্য এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের দাবি, এলআইসিকে দিয়ে লোকসানে চলা আইডিবিআই ব্যাঙ্ক কেনানো হয়েছে। তাদের দিয়ে আবাসনে লগ্নি তহবিল তৈরির মতো পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ বার বিদেশি লগ্নির সীমা বাড়ালে এলআইসির মতো সংস্থাগুলির কী হাল হবে?
অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আইআরডিএ-র সঙ্গে আলোচনায় অধিকাংশ বিমা সংস্থাই আরও বেশি বিদেশি লগ্নির পক্ষে মত দিয়েছে। মন্ত্রককে এ বার ঠিক করতে হবে, ৭৪% বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দেওয়া হলে, বিমা সংস্থাগুলির পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নিয়ম কী হবে। এক সূত্রের বক্তব্য, কেন্দ্র চায় দেশীয় সংস্থার হাতে ২৬% মালিকানা থাকলেও, বিমা সংস্থার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই থাকুক। তবে তাতে বিদেশি সংস্থাগুলি লগ্নিতে আগ্রহী হবে কি না, প্রশ্ন থাকছে।
তার উপরে বিমায় আরও বেশি বিদেশি লগ্নির ছাড়পত্র দিতে হলে বিমা আইনে সংশোধন করতে হবে। মন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, বাজেটে এই ঘোষণা হলে অর্থ বিলের মাধ্যমেই তা করা যাবে। আলাদা ভাবে সংসদে বিল আনার প্রয়োজন পড়বে না।