—প্রতীকী ছবি।
রাইন নদীর তীরে তারাই শুরু করতে চেয়েছিলেন উড়ন্ত ট্যাক্সি (ফ্লাইং ট্যাক্সি) পরিষেবা। কিন্তু বর্ষশেষে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করল সেই জার্মান স্টার্ট আপ সংস্থা ভলোকপ্টার। গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) ২৬ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত নথি সরকারের ঘরে জমা করেছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। কয়েকদিন আগেই প্রায় দেউলিয়ার দোরগোড়ায় চলে গিয়েছিল ভলোকপ্টারের সহযোগী সংস্থা লিলিয়াম। কোনও মতে সেখান থেকে ফিরে আসে তারা। জার্মান স্টার্ট আপ সংস্থাটি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করায় সেখানকার কর্মীরা যে নতুন বছরে (পড়ুন ২০২৫) আতান্তরে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য।
দেউলিয়া সংক্রান্ত নথি সরকারের ঘরে জমা করার পর একটি বিবৃতি জারি করেছে ভলোকপ্টার। সেখানে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আর্থিক সঙ্কট মেটাতে নিবিড় ভাবে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করা হয়েছে। তার পরেও নিয়ন্ত্রিত ভাবে পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’
২০১১ সালে পথচলা শুরু করে ভলোকপ্টার। দেউলিয়া দশা থেকে বেরিয়ে আসতে বর্তমানে নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজছে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা চালু করতে চাওয়া এই জার্মান সংস্থা। আদালত নিযুক্ত প্রশাসক টোবিয়াস ওয়াহল বলেছেন, ‘‘ফেব্রুয়ারির শেষে গিয়ে ভলোকপ্টারের পুনর্গঠন সম্ভব হবে। এর মধ্যে আশা করছি নতুন লগ্নিকারী পেয়ে যাব আমরা।’’
নতুন বছরে (পড়ুন ২০২৫) দুই আসন বিশিষ্ট বৈদ্যুতিক এয়ার ট্যাক্সি বাজারে আনার পরিকল্পনা করেছিল ভলোকপ্টার। এর পোশাকি নাম ভলোসিটি ঠিক করেছিল সংশ্লিষ্ট সংস্থা। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সের সময়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রথম বার জার্মান সংস্থাটির বৈদ্যুতিন উড়ন্ত ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক ভাবে উড়ানের কথা ছিল। কিন্তু, এর ইঞ্জিন সংক্রান্ত শংসাপত্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না আসায় ভলোকপ্টারের সেই পরিকল্পনা ধাক্কা খায়।
গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) নভেম্বরে ‘ক্যাপিটাল ম্যাগাজ়িন’কে একটি সাক্ষাৎকার দেন ভলোকপ্টারের সিইও। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভলোসিটির মতো প্রকল্পকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে আমাদের সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন। এর প্রযুক্তি খুবই জটিল।’’ তাঁর সংস্থা দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় ভলোসিটি আদৌ বাজারে আসবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।