প্রতীকী ছবি।
মন্দার পরে নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আগামী অর্থবর্ষে বড় অঙ্কের আর্থিক বৃদ্ধি হলেও, পরবর্তী কয়েক বছরে ভারতের পক্ষে তা ধরে রাখা কঠিন হবে বলে জানাল মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ। তাদের বক্তব্য, ২০২২-২৩ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত তা থাকতে পারে ৬.৫ শতাংশের আশেপাশে। প্রত্যাশার তুলনায় করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগে কিছুটা দেরি হওয়াও মধ্যমেয়াদে বৃদ্ধির হার মাথা তুলতে না-পারার পিছনে কাজ করতে পারে বলে সমীক্ষা রিপোর্টে জানিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থাটি। ঠিক যে ইঙ্গিত এক দিন আগে দিয়েছে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা। বলেছে, দ্রুত প্রতিষেধক বিলি হলে আগামী অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার হতে পারে ৯%। না হলে তা ৬ শতাংশের আশেপাশে থাকতে পারে। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানির জিডিপি গত বছর ৫% সঙ্কুচিত হয়েছে বলে এ দিনই জানা গিয়েছে।
ফিচের পূর্বাভাস, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে নিচু ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে ভারতের অর্থনীতির বহর ১১% বাড়তে পারে। পরের দু’বছরে তা হতে পারে যথাক্রমে ৬.৩% এবং ৬.৫%। সব মিলিয়ে আর্থিক কার্যকলাপে গতি ফিরলেও অর্থনীতিকে অতিমারির আগের জায়গায় নিয়ে যেতে এখনও যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে ভারতকে।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতি ২৩.৯% সঙ্কুচিত হয়েছিল। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৭.৫% সঙ্কুচিত হওয়ার ফলে প্রথমবার তা দেখেছিল মন্দার মুখ। ফিচের দাবি, করোনার সংক্রমণে মৃত্যুর হার অনেক দেশের তুলনায় কম হলেও ভারতের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ধাক্কা খেয়েছে বিপুল ভাবে। সারা অর্থবর্ষে সঙ্কোচনের হার দাঁড়াতে পারে ৯.৪%। অতিমারির আগে থেকে ধাক্কা খেতে থাকা অর্থনীতির আগের জায়গায় ফিরতে তাই আরও সময় লাগবে।